আড়াইহাজারে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, যাত্রাবাড়ী থেকে আসামি গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঞ্চল্যকর মাদ্রসার ছাত্রী ধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান আসামীকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। ২৭ নভেম্বর রবিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।

তিনি জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল গত ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে ডিএমপি, ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ি থানাধীন ধলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ভিকটিম মাদ্রাসার ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামী উজ্জলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ভিকটিম একজন মাদ্রাসার ছাত্রী। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ভিকটিমকে প্রথমে উত্যক্ত ও একপর্যায়ে প্রেম নিবেদন করে। ভিকটিম তার প্রস্তাব ঘৃনতার সাথে প্রত্যাখান করেন। বিগত ৩ মাস পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামীসহ তার অন্যান্য সহযোগিরা পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে বিভিন্ন উপায়ে ফুসলাইয়া গ্রেপ্তারকৃত আসামী উজ্জল এর বসতঘরে নিয়ে আসে। অতঃপর গ্রেপ্তারকৃত আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রর্দশণের মাধ্যমে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার পর গ্রেপ্তারকৃত আসামী ভিকটিমকে বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্রদান করে, যার ফলে ভিকটিম ধর্ষণের ঘটনাটি মান সম্মানের ভয়ে প্রকাশ করে না। এভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভয়ভীতি প্রদানের মাধ্যমে প্রায়ই ভিকটিমকে ধর্ষণ করে আসছিল। তবে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর গ্রেপ্তারকৃত আসামীর সাথে যোগাযোগ করে বিয়ের কথা বললে, আসামী উজ্জল ভিকটিমকে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এই পাশবিক ও নৃশংস ধর্ষণের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩৪ তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২২। উক্ত ধর্ষণের পর হতে এজাহারনামীয় আসামী উজ্জল কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী উজ্জলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং মামলার হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী বর্ণিত ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।

পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য রূপগঞ্জ থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।