পনেছ কারাগারে, মনির আসামি: সরকারের টার্গেট মহানগর বিএনপি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল ইউনিট থেকে পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে দশগুণ বেশি নেতাকর্মী সমর্থক ও জনগণকে নিয়ে যোগদানের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। এমন লক্ষ্যে যখন মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিয়ন, থানা/উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে চলেছেন, তখন সরকারের টার্গেটে পরিনত হয়েছে সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বাধীন মহানগর বিএনপি।

যার ফলশ্রুতিতে ফতুল্লা থানায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান সহ মহানগর বিএনপির বেশকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে মনে করছে মহানগর বিএনপি। একইভাবে বন্দর থানায় ছাত্রলীগের এক নেতার দায়েরকৃত একটি মামলায় বন্দর থানা বিএনপি নেতা নূর মোহাম্মদ পনেছ সহ মহানগর বিএনপির বেশকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছেন। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা নাজমুল হক রানাকে। কারন বন্দরে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার কাজটি তিনিও করছিলেন। তার বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়ে তাকে না পেলেও তার ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এসব বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু গণমাধ্যমকে বলছেন, আমরা ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রতিটি এলাকায় গিয়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছি। সাধারণ মানুষ এসে আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এমনটা দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই গায়েবী ঘটনা সাঁজিয়ে গায়েবী মামলা দেয়া হচ্ছে। এসব করে বিএনপির নেতাকর্মী ও জনগণকে এবার দমিয়ে রাখতে পারবে না। সেদিন ঢাকার রাজপথ মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরাই দখলে রাখবে ইনশাহআল্লাহ।

তারা আরো বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের ভয়ে সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই সরকারের লোকজন নিজেরাই ঘটনা সাঁজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়েছে। সাজানো মামলায় বন্দরের বিএনপির ৪জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফতুল্লা থানায় পুলিশ গায়েবী ঘটনা সাঁজিয়ে গায়েবী মামলা দায়ের করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে অতিসত্তর তাদের মক্তির দাবি করছি।

সাখাওয়াত ও টিপু বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঠেকাতে আওয়ামীলীগ নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দেশের জনগণ বুঝে এসব মামলা মিথ্যা। এর আগে তারা বিএনপির মৃত নেতাকর্মীদের নামেও মিথ্যা মামলা দিয়েছিলো। তাই তাদের দ্বারা সকল মিথ্যা সাজানো মামলা তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু এসব করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না। জনগণ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে, যা ১০ ডিসেম্বর আবারো প্রমাণিত হবে।

এদিকে ২১ নভেম্বর রাতে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৩৪ জন নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান সহ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বেশকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মনির হোসেন খান মহানগর বিএনপির প্রতিটা কর্মসূচিতে সক্রিয় ভুমিকা রেখে আসছিলেন।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ তুলে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন ছাত্রলীগ মোহাম্মদ সোহেল। তার মামলায় বন্দর থানা বিএনপি নেতা নূর মোহাম্মদ পনেছ সহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়- ছাত্রলীগের কিছু কর্মীকে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশে অংশ গ্রহণের নির্দেশ দেয় বিএনপির নেতা কর্মীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ পন্থি লোকজনকে মারধর ও কার্যালয় কার্যালয় ভাঙচুরের চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে রাতে এমন অভিযোগ এনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ পনেছ, সজিব, বুলবুল ও রাজিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ছাড়াও গত ১৮ নভেম্বর শুক্রবার ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনে পুলিশ বিএনপিকে কয়েক দফা বাধা দিয়েছে। বৃত্তহর আকারে খোলা মাঠে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি তো জাহিদ খন্দকারের নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপি। পুলিশের কয়েক দফা বাধায় পড়ে একটি বাড়ির ওঠানে কর্মীসম্মেলন করতে হয়েছে। সেই সম্মেলনেও কর্মীদের সমাগমের সময় পুলিশ বাধা দিয়েছিলো। পরে সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু কর্মী সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়ে সম্মেলন করতে সক্ষম হয়।