হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল, কিন্তু সাবেক এমপি আঙ্গুরের আনন্দ মিছিল!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়ন মিয়াকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি। জেলা ও মহানগর বিএনপি পৃথকভাবেই কর্মসূচিতে বিভিন্ন থানা উপজেলা পৌরসভা ইউনিয়ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা এসে যোগদান করেছিলেন। ছাত্রদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে সেদিন নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ নগরী নানা শ্লোগানে উত্তাল করে তোলেন।

জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলের কোথাও মিছিলে দেখা যায়নি বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য, দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পরিচিত সংস্কারবাদী আতাউর রহমান আঙ্গুরকে। বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ও শোকাহত। ঠিক সেই সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে আনন্দ মিছিল করেছেন আঙ্গুর। দীর্ঘদিন নিস্ক্রিয় থাকার পর হটাৎ আঙ্গুর আনন্দ মিছিল নিয়ে মাঠে। আড়াইহাজারের কেউ কেউ বলেছেন, ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় আড়াইহাজারে আনন্দ মিছিল করলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুর।

তবে ঘটনা জানা গেলো ভিন্ন। গত ১৫ ই নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। মূলত বিএনপির কমিটির আহ্বায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দিনকে ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনকে দিয়ে কমিটি গঠন করায় জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে ২৩ নভেম্বর বুধবার বিকেলে আড়াইহাজার আনন্দ মিছিল করেছেন আতিউর রহমান আঙ্গুর।

জানাগেছে, গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ গিয়াস উদ্দিনকে আহবায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এই কমিটির অনুমোদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গোলাম ফারুক খোকন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদে রয়েছেন।

কমিটিতে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রযেছেন অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক পদে মনিরুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান খোকা, যুগ্ম আহবায়ক মোশারফ হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জুয়েল আহমেদ।

কমিটিতে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে যে, জেলা বিএনপির আওতাধীন কমিটির অনুমোদনের ক্ষেত্রে আহ্বায়ক, ১নং যুগ্ম অহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের যৌথ স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।

কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহামুদ আগের কমিটির সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ছিলেন আগের কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।