২৮৪ নেতাকর্মীর নামে মামলা: বিএনপির দাবি ‘গায়েবী ঘটনায় গায়েবী মামলা!’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটু ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২৮৪ জন নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এই মামলার পর বিএনপির নেতারা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে বলেছেন, গায়েবী ঘটনা সাঁজিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাঁজানো গায়েবী মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মুলত আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঠেকাতে সরকারের তাবেদারী করতেই এই মামলা।

২১ নভেম্বর রাতে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৩৪ জন নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

মামলায় ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটু ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান ছাড়াও থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, সদর থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব লিংরাজ খান, সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আতা ই রাব্বি, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দোলনসহ ৩৪জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ২০ নভেম্বর দুপুর ২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতপাড়ার সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের হাজিরার সময়ে তার মুক্তির দাবিতে জড়ো হয়।
সেখানে তারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, যানবাহন ও রাষ্ট্রায়াত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, রড, ককটেল, ইটপাটকেল নিয়ে সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময়ে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে ইট দিয়ে আঘাত করে। মামলায় আলামত হিসেবে চারটি ককটেল বিষ্ফোরিত উদ্ধার, ২০ বাঁশের লাঠি, ১০ লোহার রড, টায়ার, ১০ টুকরা ভাঙ্গা গ্লাস উদ্ধার করা হয়।