নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় জাকির খানের মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীদের শ্লোগান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের এক সময়কার সভাপতি ব্যাপক জনপ্রিয় মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খানের মুক্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া ও এর আশেপাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। কোর্ট চত্বরে নেতাকর্মীদের প্রবেশে পুলিশ বাধা দেয়ার পরেও কোর্ট চত্বর পুরিপূর্ণ হয়ে ওঠে নেতাকর্মীদের অবস্থানে। নারায়ণগঞ্জ কোর্টে জাকির খানের আগমনের খবরে ২০ নভেম্বর রবিবার সকাল ৮টা থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার প্রধান ফটকের সামনে হাজার হাজার নেতাকর্মীর অবস্থান নেন। সকাল ৯টার দিকে জাকির খানকে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে হাজির করা হলে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা তার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। দুপুর নাগাদ কোর্টে তাকে তোলা হলে তার জামিন শুনানি শেষে তাকে কারাগারে নেওয়ার পথেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা তার মুক্তি দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে আদালতপাড়া ও এর আশেপাশের এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ভাই ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খানের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবান তহুরার আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সেদিন কোনো সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সেই সঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু কোনো সাক্ষী আসেননি। এরআগেও ৩৪ বার মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেননি। আদালতকে বলেছি এই মামলা পরিচালনায় বাদীর কোনো আগ্রহ নেই।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম বলেন, ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় আসামি জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে কোনো সাক্ষী না আসায় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

জাকির খান নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলার আসামি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তান করা হয়।

এর আগে সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। পরে অক্টোবর মাসে তৈমুর আবার এ নারাজি প্রত্যাহার করে নেন। তবে এ মামলায় অনেকদিন ধরে বাদী আদালতে সাক্ষ্য দেননি।