বন্দরে বিএনপির ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, মহানগর বিএনপির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ তুলে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন ছাত্রলীগ মোহাম্মদ সোহেল। তার মামলায় বন্দর থানা বিএনপি নেতা নূর মোহাম্মদ পনেছ সহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ১৯ নভেম্বর কঠোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই সরকারের লোকজন নিজেরাই ঘটনা সাঁজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়েছে। সাজানো মামলায় বন্দরের বিএনপির ৪জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে অতিসত্তর তাদের মক্তির দাবি করছি।

তারা আরো বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঠেকাতে আওয়ামীলীগ নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দেশের জনগণ বুঝে এসব মামলা মিথ্যা। এর আগে তারা বিএনপির মৃত নেতাকর্মীদের নামেও মিথ্যা মামলা দিয়েছিলো। তাই তাদের দ্বারা সকল মিথ্যা সাজানো মামলা তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু এসব করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না। জনগণ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে, যা ১০ ডিসেম্বর আবারো প্রমাণিত হবে।

অন্যদিকে মামলা সূত্রে জানাগেছে, ছাত্রলীগের কিছু কর্মীকে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশে অংশ গ্রহণের নির্দেশ দেয় বিএনপির নেতা কর্মীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ পন্থি লোকজনকে মারধর ও কার্যালয় কার্যালয় ভাঙচুরের চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে রাতে এমন অভিযোগ এনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ছাত্রলীগ নেতা সোহেল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ পনেছ, সজিব, আজহারুল ইসলাম বুলবুল ও রাজিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানাগেছে, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের কবিলের মোড়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের অফিসটি ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় রাতে বন্দর থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনের নামে অভিযোগ করে ছাত্রলীগ কর্মী চিতাশাল এলাকার মো. খালেক মিয়ার ছেলে মো. সোহেল। মধ্যরাতে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।