‘লাল চা ও টোস্ট বিস্কুট খাওয়ায়ে শামীম ওসমান হবার স্বপ্ন দেখে বিএনপি নেতা’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি নেতা এবার বিএনপির কিছু নেতার প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জের একজন সাবেক শীর্ষ নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, সেই ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সেই লাল চা ও টোস্ট বিস্কুট খাওয়ায়ে শামীম ওসমানের মত ক্ষমতাধর হবার দিবা স্বপ্ন দেখে।’

এখানে উল্লেখ্যযে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তার চেম্বারে কিংবা তার বাসভবনে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে কোন মিটিং এর আয়োজন করলে সেখানে নেতাকর্মীদের রং চা ও টোস্ট বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করেন।

১৫ এপ্রিল সোমবার এমএইচ মামুন তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ দেন। সেখানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তার আলোচনার মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি লিখেছেন, চাটুকার, ভিখারী আর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস কমেন্ট দেখলে মনে হবে তার চেয়ে ভাল ব্যক্তি, আর তার চেয়ে ভাল কেউ বুঝেনা। সে একাই সব জান্তা !!! ফেসবুকে স্ট্যাটাসের পর চাটুকার, ভিখারীরা কমেন্ট শুরু করবে, ..সহমত, ভাই আপনাকে যা দেখাচ্ছে, একা ঘুরতে গেলেন, একা খাচ্ছেন। আরো তোষামোদি চাটুকারিতা এগুলো এখন একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও লিখেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কিছু নেতা নামধারী কোর্টে হাজিরা দিতে আসে। নেতা গাড়ী দিয়ে আসবে আর ভিখারী চামচা কিছু তার অনুসারী আসার আগে অপেক্ষা করবে। তারপর নেতা গাড়ী থেকে নামলে তার সামনে ভিড় করে রাখবে। নেতা তার অনুসারীদের বলবে ঐ সালা দালাল, ঐ সালার সাথে কথা বলবিনা, যত নোংরা কথা আছে নিজ দলের তার মতের সাথে যাদের মিল নাই তাদের বিষয়ে।

আরেক নেতাকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, আরেকজন তো ৫০০ টাকা দে, ৫০০ না থাকলে ২০০ দে, আর ২০০ না থাকলে ৫০ টাকা দে, সেই ভিখারীও বড় নেতা হতে চায়! এই ধরণের নাটক শেষ হলে নেতা হাজিরা শেষে চলে গেলে ভিখারী চামচা তার অনুসারী হেটে বা রিক্সা ভাড়া কারো কাছে থেকে চেয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।

‘আবার ঐ নামধারী নেতাদের কাছে যারাই যাবে তাদের জন্য সেই ৯৬-২০০১ সালেও যা ছিল, এখনো সেই লাল চা আর টোস্ট বিস্কুট তারাই আবার শামীম ওসমানের মত ক্ষমতাধর হবার দিবা স্বপ্ন দেখে!!

‘নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে এখন যা চলছে শুধু নিজে হাইলাইট হওয়া, দলের নেত্রী যাক জাহান্নামে সেটা বড় নয়!! নির্বাচন আসলে দলের প্রতীক ধানের শীষকে হারিয়ে লাঙ্গল পাস করাতে যা লাগবো সব করে, আবার দলের পদ পদবীও আগে পাবে এই হল নারায়ণগঞ্জ বিএনপি!!!!! নিজ দলের লোকদের নিঃশেষ করার জন্য যা যা করার সব কিছু করবে!! দল কিভাবে সম্বলিতভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, কিভাবে দলকে গতিশীল করা যায়, সেটা না দেখে কিভাবে চামচা ভিখারীদের পুণর্বাসন করা যায় সে দিকে নজর!!! আল্লাহ ভাল জানেন কবে এর থেকে মুক্ত হবে আমার নারায়ণগঞ্জ বিএনপি?????’