হৃদয় থেকে কান্না আসে, কারণ আমার মা বেগম খালেদা জিয়া আজো কারারুদ্ধ: টিপু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, ১৯৭৮ সালের পর থেকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমার ৩৮ বছরের রাজনীতির ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে কাউকে দেখিনি যে, কর্মীসভা করে বিএনপির কমিটি করতে। অনেকে ঘরের ভিতর থেকে ডাইনিং টেবিলে বসে বড় বড় কথা বলতে পারেন। অতএব স্বাধীনভাবে মাঠে গিয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মতামত নিয়ে কমিটি করার সৎ সাহস কোন নেতায় দেখাননি। কিন্তু মহানগর বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে সেই সৎ সাহস দেখিয়ে দিয়েছে এবং আগামীতেও দেখবেন। আমরা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী।

টিপু আরো বলেন, আমি বিগত পাঁচটি বছর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সাংগঠনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। কিন্তু হৃদয় খুলে স্বাধীনভাবে সংগঠনের জন্য কাজ করতে পারেনি। কে যেন আমাকে পিছন থেকে টেনে ধরেছিল। কারন তারা কি সিদ্ধান্ত নিবে, কেনো নিবে, তাদের ডাকে নেতাকর্মীরা আসবে কিনা তাই নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। আজকে আপনারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় নগরীর মিশন পাড়ায় হোসিয়ারি সমিতির প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, আজকে দল করে মনে অনেক কষ্ট। দল করে সুনামও পেয়েছি এবং সম্মানও পেয়েছি। আবার পরিবার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। কিন্তু হৃদয় থেকে আজ কান্না আসে কারণ আমার মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ। আমার ভাই আমার রাজনীতির অভিভাবক তারেক রহমান ওই ১/১১ সরকারের রোষানলে পড়ে আট হাজার মাইল দূরে চিকিৎসার জন্য। দূর থেকেও তিনি দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। সেই সময়ে কিন্তু আমরা কাউকে ডাক দিয়েও পাইনি। সবাই ঘরে ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন। কেউ এসেছিলেন এবং কেউ আসেননি। আজকে কমিটি হবে বলে সবাই আসছেন। আমরা অবশ্যই প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ও ইউনিয়নে কমিটি গঠন করে দিবো। কিন্তু বলতে চাই সেইদিন কিন্তু কেউ আসেননি। আজকে অনেকেই এসেছেন সবাইকে ধন্যবাদ।

তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে যাদেরকে রাজপথে দেখেছি এবং পেয়েছি। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকার হয়েছেন তাঁদেরকে নিয়ে কমিটি গঠনের পর আজকে যারা এসেছেন তাদেরকে কমিটিতে রাখবো। যারা ঘরে বসে মামলা খেয়েছেন সে যতই প্রভাবশালী হোন তাদেরকে ভেবে চিন্তে কমিটিতে সুযোগ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সকলকে নিয়ে কমিটি গঠনের জন্য রূপরেখা হয়ে গেছে। তারা প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে গিয়ে গিয়ে তৃনমুল নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করেই কমিটি গঠন করবো।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য মাকিত মোস্তাকিম শিপলু’র সঞ্চালনায় কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ রানা, এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান টুলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, বিএনপি নেতা নাজমুল হক রানা, সাইফুল ইসলাম বাবু, নাজমুল হক, শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন, কাজী নাঈম,মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোক্তার হোসেন, সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম সরকার, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আব্দুর রহমান, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।