অর্ধশত ছবিতে আওয়ামীলীগ-জাতীয় পার্টির সঙ্গে একমঞ্চে তারা! (ছবিসহ)

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সারা বছর আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক মঞ্চে রাজনীতি করেছেন আতাউর রহমান মুকুল, হান্নান সরকার ও সুলতান আহমেদ। এলাকার উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের অনুষ্ঠান ছাড়াও জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক সভা সমাবেশেও উপস্থিত থেকেছেন প্রকাশ্যে। এমনকি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিরোধীতা করে জাতীয় নির্বাচনে প্রকাশ্যে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন তারা।

এমপি শামীম ওসমান ও এমপি সেলিম ওসমানের সঙ্গে প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা সামসুজ্জোহার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে মুকুল।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমান মুকুল। হান্নান সরকারের বাড়িতেই সেলিম ওসমানকে নিয়ে লাঙ্গলের কর্মীসভা করেছেন হান্নান সরকার। সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে যত টাকা লাগে হান্নান সরকার খরচ করারও ঘোষণা দেন সে সময়। সিরাজদ্দৌলা মাঠে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ধানের শীষের পক্ষে সমাবেশ করতে দেয়নি সুলতান। পরে অন্যত্র সমাবেশ করতে হয়।

এমপি সেলিম ওসমানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে মুকুল।

জেলা জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবুল জাহের গণমাধ্যমকে জীবদ্দশায় নিশ্চিত করেছিলেন সুলতান জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ২০১৫ সালে নগরীর খানপুরে সেলিম ওসমানকে সংবর্ধনা দেয়ার অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মিছিল করে যোগদান করেছিলেন হান্নান ও সুলতান। কিন্তু বিএনপির কমিটি গঠন আলোচনায় আসলেই তারা বিএনপিতে সরব হোন। এবারও তাই হয়েছে। মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পূর্বে বিএনপির মাঠে ফিরেন তারা। ১৩ সেপ্টেম্বর কমিটি হলে তারা বিদ্রোহ করে বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার মিশনে নামেন।

এমপি সেলিম ওসমান ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে মুকুল।

২০০৯ সালে বন্দরে হাজী নুরুদ্দীন আহমেদকে সভাপতি ও মাজহারুল হক হিরণকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করলে সেখানে বিএনপির বিরোধীতা করে নিজেরাই পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন। আতাউর রহমান মুকুল নিজেকে সভাপতি ও হান্নান সরকার নিজেকে সাধারণ সম্পাদক নিজেরাই নিজেকে ঘোষণা দেন। সুতরাং বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার মিশণ তাদের নতুন নয়।

বন্দরের ধামগড় ইউপিতে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুমকে নৌকা তুলে দিচ্ছেন মুকুল, সঙ্গে থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি রশিদ।

এদিকে ৬ অক্টোবর যখন মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শোক র‌্যালী পালন করেন। সেদিন সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির লোকজনদের হুমকি ধমকি ভয়ভীতি দেখিয়ে মুকুল গংদের পাল্টা র‌্যালীতে যোগদান করানোর চেষ্টা করেন মুকুল। মুকুলের আয়োজিত র‌্যালীতে গেলে মামলা হবেনা কিন্তু সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে র‌্যালীতে যোগদান করলে মামলার আসামি হতে হবে বলে নেতাকর্মীদের এমন ভয় দেখানো হয়। তারপরেও সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে বিশাল শোডাউন করে মহানগর বিএনপি।

নগরীর খানপুরে এমপি সেলিম ওসমানকে দেয়া সংবর্ধনা দেয়ার মঞ্চে মুকুল।

নিম্মে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভা সমাবেশে উপস্থিতির ছবি প্রমাণস্বরুপ প্রকাশ করা হলো:

২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে সেলিম ওসমানের নির্বাচন করার ঘোষণা করার মঞ্চে মুকুল।
২০১৮ সালে যেনো আবারো নির্বাচন করেন সেজন্য চেয়ারম্যানদের নিয়ে সেলিম ওসমানের কারখানায় যান মুকুল।
২০১৭ সালের দিকে বন্দরে প্রয়াত এরশাদের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মুকুল।
বন্দরে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে যেদিন সেলিম ওসমান কান ধরে ওঠবস করায় সেদিনও মুকুল সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
নগরীর খানপুরে এমপি সেলিম ওসমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মিছিল করে যোগদান করেন হান্নান সরকার।
নগরীর খানপুরে এমপি সেলিম ওসমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মিছিল করে যোগদান করেন সুলতান আহমেদ।
গত জাতীয় নির্বাচনে সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগদান করেন হান্নান সরকার।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগদান করেন সুলতান আহমেদ।
বন্দরে ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিজয় দিবস পালনে হান্নান সরকার।
বন্দরে একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা মুকুল।
বন্দরে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে মুকুল।
শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করানোর পর সেলিম ওসমানকে নিয়ে সমালোচনা হলে তার প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে ছিলেন মুকুলও।
জাতীয় পার্টির নেতার মৃত্যুতে তার শোক সভায় বক্তব্য রাখছেন মুকুল।
এভাবেই এমপি সেলিম ওসমানের সঙ্গে সরব ছিলেন মুকুল।