‘আমরা গুলির সামনে বুক পেতে দিতে শিখে গেছি, এবার মিডনাইট সরকারের বিদায়’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেছেন, জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা শিখে গেছে কিভাবে নিজের শরীরের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়। হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা আজ গুলির মাঝেও বুক পেতে থাকে। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ভোলার নুরে আলম এবং আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জ শাওন ও মুন্সীগঞ্জের শাওনকে। তারা আমাদেরকে পদ শিখিয়ে দিয়ে গেছে আন্দোলন কিভাবে করতে হয়। তার ধারাবাহিকতায় জাতীয়তাবাদী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির যুবদল কর্মী শাওন রাজা, মুন্সীগঞ্জে শাওন ও ভোলায় আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা ও আহত করা এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ওেই সমাবেশে বিএনপি নেতা মাসুকুল ইসলাম রাজীব এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, যারা গণজাগরণের কথা বলেছেন তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, গণজারণের একমাত্র উৎস হলো আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান। উনি যাদের দিকে তাকাবেন সেখানেই গণজোয়ার। ব্যক্তি বিশেষে একদিনে কেউ গণজোয়ার বাংলাদেশের সৃষ্টিকর করতে পারেনি আর পারবেও না। আগামীনে আগামী দিনে বিএনপি নেতা কর্মীর ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবে ইনশাল্লাহ।

এর আগে ওই সমাবেশে মাসুকুল ইসলাম রাজীবের নেতৃত্বে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীতে শোডাউন করে যোগদান করেছেন তিনি। বিকেল তিনটায় মিশনপাড়া এলাকা থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীতে শোডাউন করে সমাবেশে যোগদান করেন রাজীব।

এদিকে জেলা বিএনপির সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, আব্দুল হাই রাজু, জেলা বিএনপির মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার ও তার মন্ত্রীরা আগুন নিয়ে খেলছেন। এভাবে খেলতে থাকলে সরকারের পরিণতি শুভকর হবে না। প্রধানমন্ত্রীর একটি ‘আয়নাঘর’ আছে। যেটা এখন মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আয়নাঘরে অনেকে আটকে থেকে ফোন নম্বর দিচ্ছেন। কিন্তু দেশের গণমাধ্যম সেটি প্রকাশ করতে পারছে না ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা ভয়ে। আপনাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা যখন বলবেন বাম দিক থেকে আসবেন, তখন আমাদের বুঝতে হবে তিনি ডান দিক থেকে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ঘেরাও করতে আসলে চা খাওয়াবেন। অথচ পরদিন ভোলাতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তার উল্টো হবে। তিনি হলেন, উল্টো কথার জননী, উল্টো কথার মা।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, জুয়েল আহমেদ, মোশাররফ হোসেন, রুহুল আমিন শিকদার, বাছির উদ্দিন বাচ্চু, আশরাফুল হক রিপন, গোলজার হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটু, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া প্রমুখ।