মান্নানের নেতৃত্বে নগরীতে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির শোডাউন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির যুবদল কর্মী শাওন রাজা, মুন্সীগঞ্জে শাওন ও ভোলায় আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা ও আহত করা এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ওই সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীতে শোডাউন করেছেন তিনি। বিকেল তিনটায় নগরীর আজগর সিএনজি পাম্পের সামনে থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীতে শোডাউন করে সমাবেশে যোগদান করেন মান্নান।

এ সময তার সঙ্গে ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বিএনপি নেতা কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, হাজী সেলিম হক রুমী, মোমেন খান, পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মিয়া, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভুঁইয়া, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তার প্রমূখ।

এদিকে জেলা বিএনপির সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, আব্দুল হাই রাজু, জেলা বিএনপির মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার ও তার মন্ত্রীরা আগুন নিয়ে খেলছেন। এভাবে খেলতে থাকলে সরকারের পরিণতি শুভকর হবে না। প্রধানমন্ত্রীর একটি ‘আয়নাঘর’ আছে। যেটা এখন মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আয়নাঘরে অনেকে আটকে থেকে ফোন নম্বর দিচ্ছেন। কিন্তু দেশের গণমাধ্যম সেটি প্রকাশ করতে পারছে না ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা ভয়ে। আপনাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা যখন বলবেন বাম দিক থেকে আসবেন, তখন আমাদের বুঝতে হবে তিনি ডান দিক থেকে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ঘেরাও করতে আসলে চা খাওয়াবেন। অথচ পরদিন ভোলাতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তার উল্টো হবে। তিনি হলেন, উল্টো কথার জননী, উল্টো কথার মা।