আলীরটেকে সিয়াম হত্যা মামলার দুই আসামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক এ সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক সিয়াম হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। ২১ মে শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানানর র‌্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার, উপ-পরিচালক ও স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল আলম।

তিনি জানান, গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন আলীরটেক তৈলখিয়ার চর জনৈক আতাউর রহমান ও বাদলের পরিত্যক্ত ইট ভাটায় অটোরিক্সা চালক সিয়াম এর অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২২, তারিখ-১৮/০৫/২০২২ইং, ধারা- ৩৯৪/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এই ঘটনা স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ মে র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আলীরটেক এলাকা থেকে এই হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী মোঃ ইয়ামিন ও মোঃ নবী হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব আরো জানায়, নিহত সিয়াম একজন অটোরিক্সা চালক। প্রতিদিনের ন্যায় সে ১৩ মে তার অটোরিক্সা নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হলেও অন্যান্য দিনের ন্যায় সন্ধ্যায় সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। এতে তার পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন আলীরটেক তৈলখিয়ার চর জনৈক আতাউর রহমান ও বাদলের পরিত্যক্ত ইট ভাটায় সিয়ামের অর্ধগলিত লাশ ইটের ভিতর লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিঞ্জাসাবাদে জানা যায় গত ১৩মে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদ্বয় ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামী সিয়ামের অটোরিক্সাটি ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে পূর্ব পরিচিতির জের ধরে মোবাইল ফোনে ফোন করে অটোরিক্সা সহ ডেকে নেয় এবং সারাদিন তার অটোরিক্সা নিয়ে ঘুরাঘুরি করে ১৩মে সন্ধ্যায় তাকে উক্ত পরিত্যক্ত ইট-ভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা সিয়ামকে মাটিতে ফেলে কয়েকজন মিলে হাত-পা শক্ত করে ধরে এবং ধৃত আসামী ইয়ামিন ‘সিয়াম’কে গলায় চাকু মেরে জবাই করে। পরবর্তীতে সিয়ামের মৃত্য নিশ্চিত হলে তারা লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে ইট দিয়ে ঢেকে রাখে ও অটোরিক্সাটি বিক্রিয় করে পরস্পর টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।