মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে যেসব কারনে সাখাওয়াত অপরিহার্য!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থা যখন তছনছ অবস্থায় তখন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আলোচনায় এসেছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। যেখানে মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। যে কারনে এখন আলোচনায় উঠে এসেছেন সাখাওয়াত।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা নানা হিসেব নিকেশ করছেন মহানগর বিএনপি’র নেতৃত্বে কে কে আসতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে নানা বিশ্লেষণ ও আলোচনা। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের এই প্রয়োজনীয়তায় সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনের শুরুতেই তাকে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক থেকে, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

নির্বাচনের পর তৈমুর আলম খন্দকার ও এটিএম কামালকে বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন এটিএম কামাল। মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব প্রায় শূন্যের দিকে এখন। কারণ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আগের মতো শারীরিক অবস্থায় নেই। ফলে যেকোনো সময় মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যে জেলা বিএনপি’র আওতাধীন ৫টি থানা ও ৫টি পৌর কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি। এমতাবস্থায় মহানগর বিএনপি’র কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা শুরু হয়েছে। সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকেই জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি’র সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে সভাপতি পদে বহাল রেখে সাখাওয়াত হোসেন খানকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন আবুল কালাম শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তিনি তাঁর একমাত্র ছেলে মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাসিকের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশাকে মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করছেন।

এক্ষেত্রে হয়তো সাখাওয়াত হোসেন খানকে সভাপতি পদে রেখে আবুল কাউসার আশাকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর বিএনপি’র কমিটি হতে পারে। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ আলোচনায় থাকলেও বলয়ভিত্তিক রাজনীতিতে তার সামনে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ তার বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচন করায় শাস্তির মুখে পড়েছেন।

এছাড়া খোরশেদকে নিয়ে রাজনীতির মাঠে নানা কথন রয়েছে। তৈমুর আলম খন্দকার অনুগামীরা খোরশেদকে নিয়ে নানা স্বপ্ন দেখলেও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নেতৃত্ব তৈমুর ও খোরশেদের প্রতি নারাজ। ফলে খোরশেদের সম্ভাবনা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মহানগর বিএনপি’র পরবর্তী কমিটিতে সাখাওয়াত হোসেন খান যে পাকাপোক্তভাবে নেতৃত্বে আসতে চাচ্ছেন সেটা প্রায় বলা চলে। এখন দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় বিএনপির কি সিদ্ধান্ত নেয়।

অনেকেই মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলেও মুকুল প্রকাশ্যে সরকারি দলের হয়ে কাজ করায় তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিতর্কিত।  যে কারনে তার সম্ভাবনা নেই।  ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টুর সে রকম নেতাকর্মীও নেই।  একইভাবে মুকুল ও সেন্টু প্রকাশ্যে দলের বিরোধিতা করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৈমুর আলমের পক্ষে কাজ করেছেন। ফলে তারা পদ পাওয়া তো দুরের কথা, তাদের বহিষ্কারের চিন্তা ভাবনা করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।