বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার ভিত্তিতে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও এটিএম কামালকে বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। ১৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে তাদেরকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানিয়ে দেন।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এই নির্বাচনে তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।

এর আগে নির্বাচনের শুরুতেই বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ থেকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক পদ থেকে ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ থেকে তৈমুর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকার পরাজিত হন। নির্বাচনে বিএনপি’র যেসব শীর্ষ নেতারা তৈমুর আলম খন্দকারের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএনপি।

এটিএম কামাল ছাড়াও নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছেন মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ খন্দকার, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম টিটু, জেলা বিএনপির সদস্য রুহুল আমিন সিকদার, মহানগর বিএনপির সদস্য সুলতান মাহামুদ সহ আরো বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএনপি। এদের মধ্যে অনেকেই বহিষ্কারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বলে জানাগেলো। নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও জোরালো দাবি তুলেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হোক। নেতাকর্মীদের অভিযোগ- দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে আওয়ামীলীগের একটি পরিবারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে এসব নেতারা বিএনপির পদ বহন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন।