সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের বই বিতরণ উৎসব-২০২২, হুইলচেয়ার ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম. কুদরত-এ-খুদা।
হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষা হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব স্বপন চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান মিয়া।
হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের সাবিলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুক্তি, অটিজম বিষয়ক পরিচালক মাকসুদুর রহমান হিটু, পরিচালক এনামুল হক প্রিন্স, আবদুর রহমান বাচ্চু, বাহাউদ্দীন শাহ, নুরুল হক, খোকন গাজী, হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের কর্মকর্তাদের মধ্যে আল-আলামিন, হোসনে আরা মিনু, তাহমিনা বেগম, সানজিদা আলা সুরমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বি.এম. কুদরত-এ-খুদা বলেন, উপযুক্ত সেবা, চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সহায়ক উপকরণ পেলে প্রতিবন্ধীরাও সামাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম। তিনি বলেন প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব। প্রতিবন্ধী সেবায় নাগরিক সম্পৃক্ততা সরকারের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি আরো বলেন, সরকার প্রতিবন্ধীদের অধিকার সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর।
সম্মানিত অতিথি স্বপন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর বিশেষ চাহিদাপূরণে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে,সমাজের সব শ্রেণীর মানুষকে আন্তরিক হতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের অধিকার সংরক্ষণে আমরা সাংবাদিক সমাজ কাজ করে যাবো।
প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করে বলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আপনার সুদৃষ্টি আমাদের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসিনা রহমান সিমু প্রতিবন্ধী সেবায় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন বলেন, সর্ব জনসাধারনের সার্বিক সহযোগিতা প্রতিবন্ধী সেবায় আমাদের কাজকে আরো সহজতর করে তুলতে পারে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব পরিচালিত হয়।


