রবিউলের বাড়ির চারপাশে অর্ধশত মাদক স্পট, খোরশেদও ব্যর্থ!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় মাদকের বেচাকেনা হরদম। মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকার মাঝেই বসবাস করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শত শত শীর্ষ রাজনীতিক, এমনকি ব্যবসায়ী শিল্পপতি ক্রীড়ামোদী সমাজ সেবক। চাষাড়া শহীদ মিনার, বিজয় স্তম্ভ, সরকারি তোলারাম কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ এই ওয়ার্ডে অবস্থিত। অথচ এই ওয়ার্ডের মাঝেই সবচেয়ে বেশি মাদকদ্রব্য বিকিকিনি হয়।

স্থানীয়রা বলছেন- এখানে টানা তিনবারের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এবারো তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু তার ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে রাতদিন মাদক বিক্রি চললেও তিনি প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে পারেননি। এক্ষেত্রে তিনি চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। যদিও খোরশেদের লোকজনের দাবি- খোরশেদের বড় ভাই সাব্বির আলম খন্দকার মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় হত্যার শিকার হয়েছেন। সে কারনে খোরশেদও ভয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যান না। যদিও মাদক স্পট বেড়ে যাওয়ার পেছনে কেউ কেউ খোরশেদকেও দায়ী করেন।

স্থানীয়রা জানান, ১৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে ইতিমধ্যেই তিনবার পরাজিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন। এবারো তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই রবিউল হোসেনের বাড়ির চারপাশেই মাদকের অর্ধশত মাদক স্পট রয়েছে। এসব মাদক স্পটে প্রকাশ্যে ফেরি করে মাদক বিক্রি হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক শাহিন ক্রসফায়ারে নিহত হলেও তার লোকজন এখনো মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এর আগে র‌্যাব ও ডিবি পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলো।

গলাচিপা কলেজ রোড থেকে গলাচিপা চায়ের দোকান, রুপার বাড়ির গলি, চেয়ারম্যান বাড়ির গলির দুইদিকেই প্রকাশ্যে দিন রাত মাদক বিক্রি হচ্ছে। এসব এলাকায় ভাড়াটিয়ারা সব সময় আতংকে থাকে। ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের বাসার সামনে দাড়িয়ে কিংবা বাড়িতে ঢুকে মাদক বিক্রি করে। এই এলাকাতেই রবিউলের বাড়ি। আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো এসব মাদক স্পটে যারা দিনরাত প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে আসছে সেইসব মাদক ব্যবসায়ীদের অনেককেই রবিউল হোসেনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড মিটিং মিছিলে দেখা যায়।

অন্যদিকে জেলা যুবলীগ নেতা শাহ মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ এবারো নির্বাচন করবেন। কিন্তু তিনিও মাদক নির্মূলে মাদকের বিরুদ্ধে কিঞ্চিত চেষ্টাও করেননি। তার নিজ এলাকা জামতলা ও এর আশপাশের গলিতেও রয়েছে মাদকের কেনাবেচা।  কিন্তু ওয়ার্ডের কোথাও থেকে মাদক নির্মূলে তার ভুমিকা দেখা যায়নি।