আদালতপাড়ার রাজনীতিতে ওসমান পরিবারের ঝান্ডা ধরতে যাচ্ছেন বিশ্বস্ত কর্মী রনি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী মাস দুয়েকের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। বরাবরেই মত আদালতপাড়ার রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সমর্থিত দুটি প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এরি মাঝে দু’টি দল থেকে সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে কে কে প্রার্থী হতে পারেন এমন আলোচনায় ওঠে আসছে বেশক’জন সম্ভাব্য প্র্রার্থীর নাম। সরকারি দল হওয়ার কারনে আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে কে কে হতে যাচ্ছেন চূড়ান্ত প্রার্থী সেই বিষয়টির আলোচনাই সবচেয়ে বেশি। সম্ভাব্য প্র্রার্থীদের অনেকেই আইনজীবী ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। সিনিয়র আইনজীবী নেতাদের সঙ্গেও সখ্যতা তৈরি করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

সাধারণ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আইনজীবী সমিতির বর্তমান পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান। এর আগের দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। সমিতির ব্যাপক উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে তরুণ প্রজন্মের এই তিন আইনজীবী নেতার অবদান রয়েছে। প্রতিটি ভাল কাজে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণে এই তিন নেতার ‍ভুমিকা অনিস্বীকার্য। একই সঙ্গে আইনজীবী সমিতি ও আদালতপাড়ার পরিবেশে শৃঙ্খলায় রাখা, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ, পেশা পরিচালনায় পেশার মর্যাদা রক্ষায় সমিতির যাবতীয় কার্যক্রমে আমুল পরিবর্তন এনেছেন তারা।

এদিকে সমিতির নিয়ম অনুযায়ী কেউ এক টানা দুইবারের বেশি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারবেন না। ফলে ভিন্ন কিছু না ঘটলে এবার সভাপতি পদে মোহসীন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান একই পদে নির্বাচন করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে সভাপতি পদে মাহবুবুর রহমানের নির্বাচনের সুযোগ রয়েছে। যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত সভাপতি পদে নির্বাচনের বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি। যার ফলে সমিতির আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলকেই সম্ভাব্য একক প্রার্থী মনে করছেন আইনজীবীরা। এ পদে তিনি অপ্রতিরোধ্য এমনটাও বলছেন আইনজীবীরা।

তবে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক সম্ভাব্য আইনজীবী নেতার নাম প্রার্থীতায় ওঠে আসলেও যাদের মধ্যে অন্যতম গ্রহণযোগ্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনিকে। আদালতপাড়ায় একজন স্বচ্ছ অমায়িক নম্র ভদ্র হিসেবে পরিচিত তিনি। সকলের মাঝেই তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বেশ। তিনি বর্তমানে আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে অতীতে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ভুমিকা ও অবদান রয়েছে তার। আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান রবিউল আমিন রনি।

নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার ওসমান পরিবারের বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবেও আদালতপাড়ায় পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। কখনও ওসমান পরিবারের নেতৃত্বের বাহিরে ছিলেন না। ওসমান পরিবারের প্রায় সকল সদস্যদের সঙ্গেও রনির সুপরিচিতি রয়েছে। কেউ কেউ জানিয়েছেন রনির সঙ্গে ওসমান পরিবারের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু রনি সব সময় ওসমান পরিবারের নির্দেশনায় আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন। রবিউল আমিন রনি নির্বাচনের ঘোষণা না দিলেও আদালতপাড়ায় নির্বাচনকেন্দ্রীক বিষয়ে আইনজীবীদের মুখে মুখে সেক্রেটারি পদে আলোচনায় এখন রবিউল আমিন। আইনজীবীরা বলছেন- আদালতপাড়ার রাজনীতিতে ওসমান পরিবারের বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে ওসমান পরিবারের ঝাঁন্ডা ধরতে যাচ্ছেন স্বচ্ছ ও ক্লিনইমেজধারী অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনি। ফলে সমিতির আগামী নির্বাচনে তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে দেখার সম্ভাবনা প্রবল।