ক্ষমতার লোভে বিএনপি ছেড়েছে অনেকেই, কারো ছাড়ার পালা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায়। সেই থেকে বিএনপি রয়েছে ক্ষমতার বাহিরে। পরবর্তী ৫ বছর পর আবারো ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে বিভোর বিএনপির নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে ক্ষমতার লোভে বিএনপির রাজনীতি ছেড়েছেন। কেউ কেউ বিএনপির পদ পদবী বহন করেও আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে পা দিয়ে বসে আছেন। যেকোনো সময়ে এরাও আওয়ামীলীগ কিংবা জাতীয়পার্টির রাজনীতিতে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেন।

এদের মধ্যে কেউ কেউ হামলা মামলায় কোণঠাসা হয়ে নিজের পিঠ বাঁচাতে বিএনপি ছাড়ছেন, কেউ কেউ চেয়ার বহাল রাখতে দল ছাড়ছেন, কেউ কেউ ক্ষমতার লোভে দল ছাড়ছেন। তবে এই দল ছাড়ার বিষয়টি ৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরেও দেখা গেছে। সেই অনুপাতে বিএনপির আমলে আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপির রাজনীতিতে আসার লোকজন কমই।

সাত খুনের সাজাপ্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেনও এক সময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগে এসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হোন। এ পদে থাকাকালীন সময়ে তিনি সাত খুনের ঘটনায় জড়ান। জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর হোসেন আলীও এক সময় বিএনপির রাজনীতিতে ছিলেন। তিনি ছিলেন থানা ছাত্রদলের সভাপতি। বর্তমানে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তিনি পাকাপোক্ত। অনেকেই ভুলেই গেছেন তিনি এক সময় বিএনপি করতেন।

একই কাতারে আওয়ামীলীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন- ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি মনিরুল আলম সেন্টু। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা ভোটে কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেন। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস জেলা বিএনপির সদস্য ও ফতুুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক পদে থাকলেও তিনি সরকারি দলের হয়েই রাজনীতি করে আসছেন। একইভাবে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলও সরকারি দলের হয়ে রাজনীতি করছেন। গত জাতীয় নির্বাচনে তারা ধানের শীষের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কাজ করেছেন।

এ ছাড়াও সরকারি দলের হয়ে কাজ করছেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, বিএনপি নেতা সুলতান মাহামুদ ভুঁইয়া, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রধান, নগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জমসের আলী ঝন্টু সহ আরো বেশকজন বিএনপি নেতা। নগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী শাহিন বর্তমান জাতীয় পার্টির হয়ে রাজনীতি করছেন। জাতীয় পার্টির এমপির সমর্থিত প্যানেল থেকে একটি ব্যবসায়িক সংগঠনের নির্বাচনও করেছেন হাজী শাহিন।

বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মতিন প্র্রধান, জেলা তরুণ দলের সভাপতি টিএইচ তোফা, কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রধান। সর্বশেষ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার লক্ষ্যে বন্দর নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেনশাহ আহাম্মেদও বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। শাহেনশাহের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা অন্যতম ভুমিকায় মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আহাম্মদ আলী।