নারায়ণগঞ্জে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণঅনশন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী, কুমিল্লা, রংপুরসহ সারাদেশে সংগঠিত ‘সাম্প্রদায়িক হামলার’ প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে গণঅনশন-গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত।

২৩ অক্টোবর শনিবার সকাল ভোর ৬টা থেকেই চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থান নেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এসময়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গণঅনশনে যোগদান করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এবং বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা। এই অবস্থান কর্মসূচি দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে।

এসময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক প্রদীপ কুমার দাস ও সদস্য সচিব রঞ্জিত মন্ডল এবং মহানগরের সভাপতি লিটন চন্দ্র পালকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। পরে সংগঠনটি পক্ষ থেকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাপ্ত হয়।

এসময়ে অনশনকালে বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চক্রান্ত প্রতিরোধ করতে হবে। ইতিমধ্যে তদন্তে বের হয়েছে, পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন কোনো হিন্দুধর্মাবলম্বী রাখেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। পরিকল্পনা করেই মন্দির ও হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়িতে আগুন ও হামলা চালানো হয়েছে।

তারা আরও বলেন, মিথ্যা অজুহাতে সংখ্যালঘুদের ওপর পরিকল্পিত হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ, ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির সংস্কার ও হামলার শিকার নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। একটা স্বাধীন দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কখনো কাম্য নয়। বাংলাদেশের যেখানে হামলা ভাঙচুর হয়েছে সব জায়গায় সুষ্ঠু তদন্ত করে হামলাকারীদের সনাক্ত করন আইনের আওতায় আনার জন্য শুধু এই হামলা নয় আগে যেসব হামলা হয়েছে সেগুলোর বিচার দাবি জানাচ্ছি ও যাতে করে তারা আর এমন ঘটনা না ঘটাতে পারে। সেই সাথে মূলহোতা গ্ৰেপ্তার ইকবালের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক প্রদীপ কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রঞ্জিত মন্ডলের সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, দেওভোগ ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ হংস কৃষ্ণ মহারাজ, রামসিতা মন্দিরের শ্যামল মহারাজ, সৎসঙ্গ মন্দিরের মহারাজ অভিনেষ সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শ্রী রমাকান্ত সরকার, মি. পিন্টু পলিকাপ পিউরিফিকেশন, শ্রী লোকনাথ দত্ত, শ্রী বিজয় সরকার, শ্রী হারাধন চন্দ্র দে, শ্রী শংকর দাস, শ্রী প্রদীপ দাস, শ্রী সঞ্জয় দাস, শ্রী নারায়ন দাস, মি. রিচার্ড সৌরভ দেউড়ী, শ্রী কৃষ্ণ গোপাল শর্মা, শ্রী দুলাল রায়, শ্রী সুজন দাস, শ্রী রাজিব তালুকদার, শ্রী পিন্টু রায়, শ্রীমতি অনিতা চক্রবর্তী, শ্রীমতি শিপ্রা দাস ও অসীম বড়ুয়া, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম সাহা, মহানগরের সভাপতি অরুণ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, বন্দরের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, ফতুল্লা থানার সাধারণ কার্যক্রম শিবু দাস, জেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি এড. রঞ্জিত দে, মহানগরের সভাপতি খোকন সাহা, জেলা জাগো হিন্দু পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ দাস কাজল, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি আনন্দ সেরাওগী সুমন, সাধারণ সম্পাদক ভজন চন্দ্র দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বজিৎ মন্ডল শুভ, মহানগরের সভাপতি এড. অঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক রিপন কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন চত্ত বিল্লুসহ জেলা ও মহানগর এবং উপজেলা পর্যায়ের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও যুব ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।