কাউন্সিলরদের যেসব বিতর্কিত কর্মকান্ড: ছিটকে যেতে পারে অধিকাংশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬জন কাউন্সিলর এবং আরও ৯জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের মধ্যে অধিকাংশদেরই এবারের নির্বাচনে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এদের মধ্যে বেশকজন কাউন্সিলর যেমন পূর্বের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, আবার অধিকাংশ কাউন্সিলররা নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করে ভোটারদের মন থেকে ওঠে গেছেন। যদিও একজন কাউন্সিলর মৃত্যুবরণ করেছেন।

এর মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া, বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার মানুষের খোঁজখবর না রাখা, করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়ানো, সেক্টর দখল নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, কাউন্সিলর সচিবদের মাধ্যমে কাউন্সিলর কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ, নাগরিকদের হয়রানি, নাগরিক সনদ সহ বিভিন্ন সনদ প্রদানে অর্থ আদায়, টাকা না দিলে নাগরিকদের হয়রানি, সেবা প্রার্থী নাগরিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, বিএনপি জামাত হেফাজতের নাশকতার মামলায় আসামি হয়ে নাগরিকদের সেবাবঞ্চিত করা সহ নানা কর্মকান্ডের কারনে এবার অধিকাংশ কাউন্সিলরদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভোটাররা।

যে কারনে অধিকাংশ কাউন্সিলরদের এবার পরিবর্তনের বিরাট সম্ভাবনা। যার মধ্যে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিএম সাদরিলের সচিব নাজমুল নামে একজন যখন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে অঢেল সুবিধা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নাগরিক সনদ সহ নানা সনদ ও কাউন্সিলরের কাজগুলো আদায় করতে অর্থ আদায় করতো এই নাজমুল। নাগরিক সনদও এখন দিচ্ছেনা সে। কাউন্সিলর আত্মগোপনে থাকায় সেই হয়ে ওঠেছে অঘোষিত কাউন্সিলর। এমন হাজারো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার মত আরো বেশকজন কাউন্সিলও তার সচিবদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। যার পেছন থেকে সুবিধাও নিতেন কাউন্সিলরগণ। এমন অভিযোগ ভোটারদের।

ভোটারদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান- করোনাকালে করোনার লাশ দাফনে যেমন ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, তেমনি নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে সমালোচনায় পড়েছিলেন ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি। বিতর্কের বাহিরে ছিলেন না ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহাল বাদল, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান। বিএনপির রাজনীতির সুবাদে জেলে ও আত্মগোপনে থাকায় ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের সেবাবঞ্চিত ছিল ওয়ার্ডবাসী। ওয়ার্ডবাসীর দ্বারে কাছেও যায়নি ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক।

২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুউদ্দীন মাহমুদ দুলাল প্রধান ফেন্সিডিল সহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ছাড়াও ১১নং ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতা জমসের আলী ঝন্টু, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মেদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকেও আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করায় বিএনপির ভোটাররা তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সাথে তাল মিলিয়ে চলছেন, যে কারনে তিনি বেশ বেকায়দায়। এ ছাড়াও তার ওয়ার্ডে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক সেক্টর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি বেশ সমালোচনায় পড়েন তিনি। বেশকজন নারী কাউন্সিলরও এবার ছিটকে যেতে পারেন।