সোনারগাঁয়ের ১০টি ইউনিয়নেই থাকছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, রূপগঞ্জ ও বন্দর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিলও যে কোনো সময় ঘোষিত হতে পারে। এই নির্বাচনে সোনারগাঁয়েও বিএনপির কোনো প্রার্থী থাকছেনা। বিএনপির কোনো নেতাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনী আলোচনাতে নাই। তবে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন বেশকজন নেতা। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকেই জাতীয় পার্টির নেতারা মুখিয়ে আছেন নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য। তবে এখনও পর্যন্ত জাতীয়পার্টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ছিল না। ওই নির্বাচনে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রব ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে ডা. আব্দুর রউফ জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। জামপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আবু হানিফ ভুঁইয়াকে সমর্থন দিলেও তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। তবে আব্দুুর রব ও ডা. আব্দুর রউফ এবার জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী হতে পারেন। জামপুর ইউনিয়নে অনেক আগেই ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আশরাফুল মাকসুদ ভুঁইয়াকে প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সমর্থন ঘোষণা করা হয়েছিল।

এদিকে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়া। মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে আলোচনায় রয়েছেন মোহাম্মদ আলী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতা কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু। লিটু নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় থাকলেও মোহাম্মদ আলীকে এখনও নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি।

সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল হাসেম লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। তবে সনমান্দি, কাঁচপুুর, নোয়াগাঁও, বারদী ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচনের জন্য এখনও কেউ আলোচনায় আসেননি। তবে শক্ত প্রার্থী হলে জাতীয় পার্টি ১০টি ইউনিয়নেই থাকতে পারে লাঙ্গলের প্রার্থী।