প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল: আব্দুল হাই

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে সপরিবারে হত্যার পর ৮১সালে দেশে ফিরে আওয়ামীলীগের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলন তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন। এর পরপর তিনবার তিনি ক্ষমতায় আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারবারের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে একবার না, দুইবার না, ২১বার হত্যার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে দেশের মানুষের দোয়ায় প্রধানমন্ত্রী এখনও আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। আল্লাহ পাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নেক হায়াত দান করুক। কারণ প্রধানমন্ত্রীকে ছাড়া আমাদের সকলের ব্যালেন্স জিরো।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জম্মদিন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরীল ২নং রেলগেইটে অবস্থিত আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জম্মদিন উদযাপন করা হয়।

আবদুল হাই আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু করন্যা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাসহ জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারকাজ সম্পন্ন করেন। বঙ্গবন্ধু দুই খুনি এখনো বিদেশের মাটিতে রয়েছেন অবিলম্বে তাদের কে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছে। সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ছেয়ে গেছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী জামাত-বিএনপি দোসররা প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্নভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু এ সকল অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে সকল বাধা অতিক্রম করে দুর্বার গতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমরা সকলেই সেই উন্নয়নের সহযোগী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে কাজ করব।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই’র সভাপতিত্বে এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, খবির উদ্দিন আহমেদ, মো. ছানাউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, ত্রাণ ও পুণর্বাসন সম্পাদক আলমাছ ভূঁইয়া, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এস.এম জাহাঙ্গীর হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য আমজাদ হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, শামসুজ্জামান ভাষানী, অ্যাডভোকেট ইসহাক মিয়া, সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ, সোনাকান্দা ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান, গোগনগর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আক্তার হোসেন সুকুম, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া প্রমূখ।