সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন: এবারও বিএনপির ভরসা সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

যদিও স্থানীয় কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্র্রহণ করবেনা বলে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে বিএনপি।  গত নির্বাচনে ধানের শীষপ্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।  নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ৯৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন সাখাওয়াত।  নির্বাচনে বিএনপির প্র্রভাবশালী নেতারা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিরোধীতা করার পরেও ৯৬ হাজার ভোট পান তিনি।  তবে এবার সাখাওয়াত হোসেন খান আগের চেয়ে রাজনীতিতে অনেক পাকাপোক্ত।

গত নির্বাচনে যাদেরকে হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনে করা হতো সেই বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম নির্বাচনে আগ্রহ প্র্রকাশ করেননি।  এমনকি নির্বাচনে প্রার্থী করতে তৈমূর আলম খন্দকারকে নিয়ে তিনবার বৈঠক করেছিলেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।  শেষতক সাখাওয়াত হোসেন খানকে প্রার্থী করা হয়।

গত নির্বাচনে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার ১৩নং ওয়ার্ড থেকে, মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনের ছেলে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল ৫নং ওয়ার্ড থেকে ও আবুল কালামের ছেলে আবুল কাউসার আশা ২৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছিলেন।  আশা ফেল করলেও বাকি দুজন জয়ী হয়েছেন।  সিটি কর্পোরেশনের তিনটি থানায় এই তিন নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হলেও তারা তাদের ভাই ও সন্তানদের নির্বাচনী ওয়ার্ড এলাকায় ব্যস্ত ছিলেন।  তিনটি ওয়ার্ডের বাহিরে গিয়ে ধানের শীষপ্রতীকের কি হাল সেটা পর্যবেক্ষনও করেননি তারা।  নির্বাচনের আগে ও পরে তৈমূর আলম খন্দকার মিডিয়াতে বারবার নিজ দলের প্রার্থীকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্যও করেছিলেন।  যে কারনে নির্বাচনের পরে জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিয়েছিল বিএনপি।

এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে আগামী ডিসেম্বরের আগেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।  এমন আভাস পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কি হতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর মাঝে আলোচনা শুরু হয়েছে।  আদৌ বিএনপি এই নির্বাচনে আসবে কিনা সেটা দেখার বিষয়।  তবে গত নির্বাচনের পর থেকে সিটি কর্পোরেশনের এলাকায় আরো বেশি সক্রিয়তা দেখিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন খান।  প্রতিটি ওয়ার্ডে তার পরিচিতি বাড়িয়েছেন।  দলের নেতাকর্মীও তৈরি করেছেন।  করোনাকালেও তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সহায়তার হাত বাড়িয়ে।  সিটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে একমাত্র সাখাওয়াত হোসেন খানেরই প্রস্তুতি রয়েছে।  এবারও নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে তৈমূর, গিয়াস ও আবুল কালামের কোনো আগ্রহের খবর পাওয়া যায়নি।  তবে এবার এই তিন নেতার সমানকাতারে ওঠে এসেছেন সাখাওয়াত হোসেন খান।  হেভিওয়েট প্রার্থীর তালিকায়ও থাকছেন তিনি।