সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল চিটাগাং রোড এলাকা হতে জ্বালানী তেল চোরাই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার লিটার জ্বালানী তেলভর্তি ট্যাংক লরী জব্দ করা হয়। ২৪ জুন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল কর্তৃক ২৩ জুন বুধবার দিবাগত রাত একটায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জ্বালানী তেল চোরাই চক্রের দুই জন সক্রিয় সদস্য বাহাউদ্দিন ওরফে বাতেন ও আব্দুন সাত্তার ওরফে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উক্ত অভিযানে সাড়ে ১৩ হাজার লিটার চোরাই জ্বালানী তেলের উপজাত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা ও ১টি ট্যাংক লরী জব্দ করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চোরাই চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন জায়গা হতে অসাধু উপায়ে জ্বালানী তেলের উপজাত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা সংগ্রহ করে পেট্রোল পাম্পগুলোতে সরাবরাহ করে আসছে। ন্যাপথা মূলত ক্যামিকেল কোম্পানীগুলোতে ব্যবহার করা হয়। ইঞ্জিন চালিত গাড়ীতে ব্যবহৃত জ্বালানী তেল পেট্রোলের তুলনায় ন্যাপথার বাজার মূল্য অনেক কম হওয়ায় উক্ত চোরাই চক্র অবৈধভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পেট্রোলের সাথে ন্যাপথা মিশিয়ে গাড়ীর মালিকদের কাছে বিক্রয় করে প্রতারণামূলকভাবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জ্বালানী তেল পেট্রোলের সাথে মিশ্রিত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা ব্যবহারের ফলে গাড়ীর ইঞ্জিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর উক্ত চোরাই চক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় র্যাব-১১ একটি আভিযানিক দল। অতঃপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রামগামী পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট স্থাপন করে জ্বালানী তেলবাহী বিভিন্ন ট্যাংকলরী তল্লাশীকালে সাড়ে ১৩ হাজার লিটার চোরাই পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা ভর্তি ১টি ট্যাংকলরীসহ ২ জন ব্যক্তিকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
উক্ত চোরাই জ্বালানী তেলের উপজাত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা পরিবহনের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
তারা সংঘবদ্ধ তেল চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। ড্রাইভার ও হেলপার পেশার ছদ্মবেশ ধারন করে দীর্ঘদিন যাবৎ পরষ্পর যোগসাজশে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান হতে অসাধু উপায়ে ক্যামিকেল কোম্পানীতে ব্যবহৃত জ্বালানী তেলের উপজাত পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ন্যাপথা সংগ্রহ করে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পেট্রোলিয়াম পাম্পগুলোতে সরাবরাহ করে আসছে।
