করোনাযোদ্ধা ফজলুল হক মাস্টার, মানবতায় সানাউল্লাহ বেপারী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশে চলে কয়েক মাস লকডাউন। ওই সময় সকল শ্রেণি পেশার মানুষের আয়ের সকল পথ বন্ধ হয়ে গেলে দিনমজুর খেটে খাওয়া ও অসহায় দুস্থ মানুষগুলো বিপাকে পড়ে যায়। এমন সময় এগিয়ে আসেন করোনাযোদ্ধারা। একইভাবে করোনায় কিংবা করোনার উপসর্গ নিয়ে যখন মৃত্যুবরণ করছিল তখন লাশ ধরতেও এগিয়ে আসেনি স্বজনেরা। তখন লাশ দাফনে এগিয়ে আসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে এসব লাশ দাফন করেন তারা।

তেমনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া দুস্থ মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়ান স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। মাস্ক স্যানিটাইজার বিতরণ থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান সহ নানা সুুযোগ সুবিধা চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। কখনও স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে কখনওবা নিজ হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন এমপি খোকা।

এমনকি যেসব মানুষ প্রকাশ্যে খাদ্য সামগ্রী চাইতে পারতো না ওইসব পরিবারগুলোর মাঝে রাতের আধারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন এমপি খোকা। এসব মানুষের জন্য হটলাইন চালু করেছিলেন। যে হটলাইলে খাদ্য সামগ্রীর জন্য ফোন করলেই খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হতো।

এসব খাদ্য সামগ্রী ও সেবা প্রদানে বেশকজন সমন্বয়কের মধ্যে অন্যতম ছিলেন উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুল হক মাস্টার। দিন রাত এমপির সঙ্গে থেকে করোনাকালে মানুুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন ফজলুল হক মাস্টার। এমপির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী উপজেলার প্রতিটি এলাকায় পৌছে দেয়ার কাজটি করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে পবিত্র ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আজহার সময় খাদ্য সামগ্রী ঈদ সামগ্রীগুলোও সমন্বয়ের মাধ্যমে পৌছে দেয়ার কাজ করেছিলেন ফজলুল হক। নিজের জীবন বাজি রেখে একজন করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে আর্ভিভূত হন ফজলুল হক মাস্টার। সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল বিকেলেও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এলাকায় এমপি খোকার সঙ্গে মাস্ক বিতরণ করেছিলেন ফজলুল হক মাস্টার।

অন্যদিকে করোনায় ও করোনার উপসর্গ নিয়ে যখন কারো মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো তথন তার আত্মীয়স্বজনও লাশ দাফন কাফনে এগিয়ে আসছিল না। ওই সময় লাশ দাফন কাফনে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার পৃষ্টপোষকতায় ‘আমরা স্বেচ্ছাসেবী করোনাযোদ্ধা’ নামের সংগঠন এগিয়ে লাশ দাফনে। যে সংগঠনের টিম লিডার ছিলেন সানাউল্লাহ বেপারী। যিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে সোনারগাঁয়ে ৩৭টি লাশ দাফন কাফন করেছে এই সেচ্ছাসেবী টিম। একই সঙ্গে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও করোনাকালে সেবামুলক কাজগুলোও করেছে এই সংগঠনটি। যে কারনে সোনারগাঁয়ের মানুষ বলছেন, করোনাকালে মানবতার সাক্ষার রেখেছেন সানাউল্লাহ বেপারী।