স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাসেলের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রাসেল মাহামুদ সহ দুই গ্রুপের দুইজন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ করেছে। রাসেল মাহামুদ দাবি করেছেন- মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় তার উপর হামলা চালানো হয়েছে। তবে অপর পক্ষের দাবি পুর্ব বিরোধের জের ধরে রাসেল মাহামুদ তার বাহিনী নিয়ে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রাসেল বাহিনীর বিরুদ্ধে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ৫জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা ও স্বর্নালংঙ্কার লুট করার অভিযোগ করেছেন আহত আবদুর রহমান।

১৪ মার্চ দুপুরে ফতুল্লা বিসিক ২নং গলি সংগ্ন মার্টিন গামেন্টর্সের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে আহত আবদুর রহমান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে তিনি দাবি করেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে গোল মোহাম্মদের পুত্র ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রাসেল, তার ভাই সিয়ন, গোল মোহাম্মদ সহ অজ্ঞাত ১০/১২জন বিসিক বিসিক ২নং গলি এলাকার আবদুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আবদুর রহমানকে মারধর করে।

এসময় তার স্ত্রী রেহনা বেগম, ছেলে রান, মাসুদ, মাহিম এগিয়ে এলে তাদের কেও মারধর করা হয়। এসময় সন্ত্রাসী রাসেল বাহিনী ঘরে আ: রহমানের সাড়ে ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ লুটপাট করে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে তিন ছেলেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং গুরতর আহত রহমান ও তার স্ত্রীকে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, রহমানের পরিবারের সাথে রাসেলের পরিবারের দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরধরে রোববার দুপরে রহমানের বাড়ির সামনের রাসেল ও রহমানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাসেল ফোন করে আত্মীয় স্বজনসহ ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এসে রহমানের বাড়িতে হামলা করে। এসময় রহমানের বাড়ির সামনে থাকা একটি দোকান ও বসতবাড়ীতে হামলা চালায়।

অন্যদিকে আহত রাসেল অভিযোগে দাবি করেছেন- বিসিক মার্টিন গার্মেন্টেসের সামনে রানা, মাসুদ, আব্দুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত মাদক বিক্রয় সহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম করে আসছিল। রাসেল মাহমুদ সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির লােকজন বিসিক শিল্প মালিক সমিতি তাদেরকে এখানে মাদক ব্যবসা না করার জন্য এবং এহেন কর্মে বাধা নিষেধ করে আসছিল। মাদক ব্যবসায়ীর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি সহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছিল।

রবিবার বিকেল তিনটায় মার্টিন গার্মেন্টসের সামনে পূণরায় মাদক বিক্রয় কর্ম করাকালীন সময়ে রানা, মাসুদ, আব্দুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বিবাদী রাসেল মাহামুদকে উক্ত গার্মেন্টসের সামনে জনসম্মুখে এলােপাথাড়ী মারধর করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলফুলা জখম করে। এক পর্যায় ২ ও ৩নং বিবাদী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্বাসরােধ করার চেষ্টা করলে তাতে ব্যর্থ হলে ১নং বিবাদী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ধারালাে চাপাতি দ্বারা তার মাথায় আঘাত করে তার মাথার বামপাশে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।

রাসেল মাহামুদ বলেন, তারপর আমার আত্মচিকারে আশপাশের লােকজন এগিয়ে আসলে ১নং বিবাদী যে কোন মূল্যে আমাকে খুন-জখম সহ জীবনের তরে শেষ করে ফেলবে অন্যথায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা মােকদ্দমা দায়ের করে আমার বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করবে মর্মে হুমকি প্রদান করে চলে যায়।