র‌্যাব-১১’র অভিযানে পোশাক চুরির সংঘবদ্ধ চক্রের ৮জন গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

র‌্যাব-১১ এর অভিযানে কুমিল­ার চান্দিনা হতে রপ্তানিকৃত গার্মেন্টস পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান হতে পোশাক চুরির সংঘবদ্ধ চক্রের ৮ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় কোটি টাকার পোশাক সহ একটি কভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়। ৬ মার্চ শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।

তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল গত ৫ মার্চ শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন কাশিমপুর বাগুসি সাকিনস্থ মোঃ আবুল কালাম শামীমের বড় গোডাউন ঘরের ভিতরে অভিযান পরিচালনা করে রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান হতে অভিনব কায়দায় পোশাক চুরি করার সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৮ জন সক্রিয় সদস্যকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ মাসুম বিল­াহ, মোঃ রিয়াজ, মোঃ আহাম আলী, মোঃ জমির আলী, মোঃ মোশারফ হোসেন, মোঃ দিদারুল আলম ও মোঃ রাশেদ। এসময় তাদের কাছ থেকে কোটি টাকার রপ্তানিজাত চোরাই পোশাকসহ ১টি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গাজীপুর জেলার বাসন থানাধীন টেলিপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত আলফা ড্রেসওয়্যার লিমিটেড ফ্যাক্টরীর রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান শিপমেন্টের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র চুরি করার উদ্দেশ্যে চান্দিনার কাশিমপুর বাগুসি সাকিনস্থ মোঃ আবুল কালাম শামীমের বড় গোডাউন ঘরের ভিতরে কাভার্ডভ্যান ঢুকিয়ে সিলগালা অক্ষত রেখে বিশেষ কৌশলে দরজা খুলে তারা মোড়ককৃত কার্টুনগুলো নিচে নামিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে ফেলে।

এই চোরচক্র কাভার্ডভ্যানের অসাধু চালক ও হেলপারের পরস্পর যোগসাজশে শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত করা পোশাকভর্তি কার্টুন খুলে অভিনব কায়দায় প্রতিটি কার্টুন হতে ১০ থেকে ২০টি করে পোশাক চুরি করে আত্মসাৎ করার সময় র‌্যাব-১১, সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল কোটি টাকার রপ্তানিজাত চোরাই পোশাকভর্তি ০১টি কাভার্ডভ্যান উদ্ধারসহ উলি­খিত আসামীদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তারা একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে চুরি করে আসছে।

এসকল চুরির ফলে গার্মেন্টস মালিকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতো এবং চাহিদা ও অর্ডার অনুযায়ী শিপমেন্ট দিতে না পারায় বিদেশী ক্রেতাদের নিকট দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা সংঘবদ্ধ চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। ভবিষ্যতে এই সংঘবদ্ধ চোরাইচক্রের পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের গোপন অনুসন্ধান ও কঠোর নজরদারী অব্যাহত থাকবে।