মন্ত্রীত্ব দিতে সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের নাম প্রস্তাব করেছি: শামীম ওসমান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারিতে যদি জীবিত থাকি নারায়ণগঞ্জের মানুষের সামনে কিছু কথা বলবো, জবাবদিহি করবো। তাদের সিদ্ধান্ত নিবো। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাদের অনেক দিয়েছে। আমার বাবা-নেই মা নেই, নেত্রী ( প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) হলো বাবা-মা। তিনি আমাদের অভিভাবক। ওনার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো। এরপর আপনাদের সামনে সেদিন কথা বলবো। হয়তো সেদিন রাজনীতির শেষ কথাও হতে পারে কিংবা নতুন করে কিছু শুরুও হতে পারে।

২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিঙ্ক রোডের পাশে নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে নিজের জন্মদিন অনুষ্ঠানের শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ‘একেএম শামীম ওসমান’ নামে ওয়েবসাইট পেইজ ও ‘একজন শামীম ওসমান’ নামে ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে শামীম ওসমানের স্ত্রী, দুই সন্তান, পুত্রবধূ, নাতী, বড় ভাই এমপি সেলিম ওসমান, বড় বোন নিগার ওসমান, ভাবী নাসরিন ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন নাসিম, জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা, জেলা আইনজীবী সমিতি, নাসিক কাউন্সিলরবৃন্দ, বিকেএমইএ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যবসায়ি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান বলেন, আমরা খেতে আসি নাই, আমরা দিতে এসেছি। যেহেতু খেতে আসি নাই, দিতে এসেছি তাই মনে করি পরবর্তী প্রজন্মকে সুযোগ করে দেয়া উচিৎ। আর আমরা ওই নীতিতে বিশ্বাস করি রাজনীতি কোন জমিদারিত্ব নয়। যার যোগ্যতা আছে যার ত্যাগ আছে তাকে স্থান দেয়া এবং এই বিশ্বাস নিয়ে আমরা থাকবো।

এসময় শামীম ওসমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার জন্মদিনে আমার মা নাই, বাবা নাই। এই জন্য দোয়া চাই। এবং আপনাদের বাবা-মার জন্য দোয়া করি। যাদের বাবা-মা আছে তাদের বলছি বাবা-মায়ের দোয়াটা নিতে শিখেন। চেষ্টা করেন। চলে যাওয়ার পর আফছোস করবেন। আর বাবা-মায়ের দোয়া যদি থাকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ।

শামীম ওসমান বলেন, আজকে আমি কিছু বলবো না আমার রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে। আমার বড়ভাই সেলিম ভাই সহ অনেকে আমার সম্পর্কে বলেছে। আমার বন্ধু আলাউদ্দিন নাসিম বলেছে আমি মন্ত্রীত্ব ফিরিয়ে দিয়েছি। আসলে আমরা একটা ব্যাচ। সেক্রিফাইস করেছি। ১৯৯৮ সালে আমাকে বলা হয়েছিল মন্ত্রী হওয়ার জন্য। কিন্তু আমার চেয়ে অনেক যোগ্যলোক সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের নাম প্রস্তাব করেছি। আপা আমাকে না আশরাফ ভাইকে বানান এবং এর পরে যখন আবার মন্ত্রী হওয়ার জন্য বলা হলো তখন আমার বন্ধু আলা উদ্দিন নাসিম, নানকভাই, আজম মানে আমাদের যে ব্যাচ, ইভেন ওবায়দুল কাদের ভাই যার সাথে আমরা রাজনীতি করেছি। সবাই বকাবকি করেছে কেন মন্ত্রী হলাম না। কিন্তু আমাদের বেসিকটা হলো আমরা মানুষের মনে স্থান করে নিতে চাই। সেই জায়গায় যেতে আমরা আমাদের লক্ষ্যে কাজ করছি এবং এখনো সেই চেষ্টাটা করছি। যাতে মৃত্যুর পর, কবে মরবো জানি না। প্রত্যোক দিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছি। শুধু ওই টুকু চাই আল্লাহর কাছে মৃত্যুর পর যাতে মানুষ বলে লোকটা ভালো ছিল। ক্ষমতায় থাকলে সবাই ভালো বলে। কিন্তু মৃত্যুর পর যদি বলে লোকটা ভালো ছিল আমার মনে হয় আল্লাহ তাকে কবুল করেন। আমরা এখন যেটা করি এটা ইবাদত। রাজনীতিটাকে ইবাদত হিসেবে নিয়েছি মানুষের সেবা করার জন্য।