ফতুল্লায় কোন সন্ত্রাসীর স্থান হবে না: ওসি আসলাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ও এনায়েতনগর আঞ্চলিক শাখা ইট খোলা মালিক সমিতির উদ্যোগে সন্ত্রাস চাদাঁবাজদের বিরুদ্ধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে প্রতাবনগরে ইট খোলা মালিক সমিতির সভাপতি ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ নিজাম।

ইট খোলা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন ও ইউনাইটেড ক্লাবের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপু প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমান প্রধান, তৈয়ব আলী, আব্দুল কাদির, সলিমউল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, মোতালিব খান, নাসিরউদ্দিন, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাফায়েত নুর প্রমুখ।

প্রধান অতিথি অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, কোন সন্ত্রাসীর ফতুল্লায় স্থান দেয়া হবেনা। অন্য জেলার লোকজন আমার এলাকার লোকজনের উপর হামলা চালাতো এটা জানতাম।এখন শুনছি এলাকার লোকজন হামলা করে। অন্যায় কাজে কোন ধরনের তদ্বির আমি রাখিনা। সন্ত্রাসী নয় আমার শান্তিপ্রিয় মানুষ বসবাস করবে। নিজেরা আগুন দিয়ে ও বয়স্ক লোক গুম করে অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজ দের স্থান হবেনা কেননা আমাকে কেউ কিনতে পারবেনা।

প্রধান আলোচক শাহ নিজাম বলেন, আপনারা শামীম ওসমানকে উন্নয়নের রুপকার বলেছেন। তবে কেন এখানে চাদাঁবাজ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ ও জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্সে নিয়ে এসেছেন। এলাকায় সন্ত্রাস চাদাঁবাজ মুক্ত করে দরজা খোলা রেখে গুমাবেন। এটা সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশ। আপনার নিরাপত্তা আপনাকে করতে হবে সহযোগিতার দরকার আমরা তা করবো। আইন শৃংখলার রক্ষার্থে ২/৪ টি কুলাঙ্গারকে ক্রসফায়ার দিবেন। দেশের লোক মিছিল করবে। তবে ওসি আসলাম কে মানুষ মনে রাখবে।

সভাপতির বক্তব্যে শওকত আলী বলেন, মাদক সন্ত্রাস, চাদাঁবাজির বিরুদ্ধে আজকের আয়োজন। গুটি কয়েকজনের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে থাকতে চাইনা। জনকল্যাণমুখী কাজে আমরা সহযোগিতা করে থাকি। ইট ভাটার মালিকগন বছরে সরকারকে ৭/৮ লাখ টাকা কর দিয়ে থাকে। তা সত্বেও আমরা জিম্মি হয়ে আছি।