সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মেয়র প্রার্থীর

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। কয়েক মাস পূর্বেও সোনারগাঁও পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছিল সোনারগাঁয়ের রাজনীতি। আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ৬জনের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রেও পাঠিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল হয়নি এখনও।

নির্বাচন হবে কিংবা কবে হবে বা আদৈা হবে কিনা সেই দোয়াশা পরিস্থিতিতে চুপসে গেছেন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা। তবে কেউ কেউ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতেও ভেতরগতভাবে কাজ করছেন। তারা আশা দেখছেন নির্বাচন হবে। এমন পরিস্থিতিতে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসাইন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মোহাম্মদ হোসাইন লিখেছেন, ‘ঐক্য ব্যতীত কোন সংগ্রামেই সফলতা আসে না। সোনারগাঁ পৌরসভার যে জটিলতা তা ঐক্য ব্যতীত সমাধান সম্ভব বলে আমি মনে করি না। এখন যে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগের ঐক্যের কোন বিকল্প নাই।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাই আমি একজন মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে বলবো আসুন সবাই মিলে একসাথে কাজ করে, আইনী লড়াই করে সোনারগাঁ পৌরসভাকে অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করি। নির্বাচনে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন নিবে আমরা তারপক্ষেই কাজ করে জয় লাভ করাবো। আমি কথা দিতে চাই প্রিয় নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাহিরে আমি যাবো না। আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।’

বছর খানিক সময় ধরেই সোনারগাঁও পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছগীর আহাম্মেদ, জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী, কেন্দ্রীয যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন।

উপজেলার পৌরসভা আওয়ামীলীগ থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং পরবর্তীতে সেটা জেলার মাধ্যমে ৬ জনের নাম কেন্দ্রে প্রস্তাব করা হয়। যেখানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনির নামও সম্পৃক্ত করা হয়। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করায় সেইসব প্রার্থীদের প্রচারণা থমকে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে প্রার্থীরা সক্রিয় থাকলেও পূর্বের মত পুুরোদস্তর নির্বাচনী প্রচারণায় নাই।