যুবদল থেকে মামা-ভাগনে হটাতে গিয়ে তারাও বাতিল!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে জুতা ঝাঁড়ু মিছিলের রেকর্ড গড়েছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি ও সরকার আলম সহ বেশকজন নেতা। সেই বিরোধ মিটিয়ে পরবর্তী হলো সুপার ফাইভ কমিটি। সেই কমিটি গঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আবারো যুবদলের শীর্ষ ৫ নেতার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

ওই সময় সভাপিত ও সেক্রেটারি এক জোট থাকলেও বছর খানিক সময় ধরে সেই জোটের মাঝে চির ধরিয়েছেন সুপার ফাইভের শীর্ষ তিন নেতা অর্থাৎ সুপার থ্রি। এতে সুপার ফাইভের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

জানাগেছে, সভাপতি পদে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তুর নেতৃত্বে গঠিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি বাতিল করা হয়েছে। গত বুধবার ১৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় যুবদলের প্যাডে মহানগর যুবদলের বর্তমান কমিটি বাতিল করা হয়।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, মুুলত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় সভাপতি খোরশেদ ও সেক্রেটারি মন্তু একজোট হয়েই কমিটি গঠন করেন। কিন্তু তাদের মধ্যে ঐক্য থাকলেও বছর খানিক সময় ধরে সেক্রেটারি মন্তুর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সভাপতির পাল্টা কর্মসূচিও পালন করেন।

এর আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর কমিটির বিরোধীতা করেছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন সহ-সভাপতি ফিরোজ হোসেন, আহাম্মদ আলী ও যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জরুল আলম মুছা সহ কমিটির বেশকজন।

তবে বছর খানিক সময় ধরে বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের আগে ও পরে সভাপতি খোরশেদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে যায় যুবদলের বিশাল একটি অংশ। এর কারন হিসেবে তারা কেন্দ্রে অভিযোগ করেন, করোনাকালে খোরশেদ যুবদলের কোন কর্মসূচি পালন করেননি। তিনি টিম খোরশেদ নাম দিয়ে করোনায় কাজ করেছেন। এমনকি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্র্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামও কোনদিন মুখে নেননি।

সরকারি দলের এমপির বীর বাহাদুর মন্তব্যকে নিজেকে খেতাবী দাবি করে প্রচার করতে থাকেন। এসব ছাড়াও হাজারো অভিযোগ খোরশেদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে জমা হয়। অবশষে সেই কমিটি বাতিল করে দেয় কেন্দ্রীয় যুবদল। ফলে মন্তু, শোখন ও সাগর প্রধানের আন্দোলন সফল বলা যায়। কারন তারা যুবদলের কর্মসূচিতে বারবার বলেছেন, আমরা পদ নিয়ে ভাবিনা কিন্তু যুবদল কারো পৌত্রিক সম্পত্তি হতে দিব না।