মোহসীন-মাহবুবের পক্ষে যুবলীগ-ছাত্রলীগের শোডাউন, বিএনপির কঠোর সমালোচনা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহমীন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান প্যানেলের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় আওয়ামীলীগ ও এর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শোডাউন করেছেন। এই শোডাউনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির আইনজীবী নেতারা। সরকারি দলের নেতাকর্মীদের আদালতপাড়ায় বহিরাগত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা।

২৪ জানুয়ারি রবিবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় আওয়ামীলীগের শতশত নেতাকর্মীরা দফায় দফায় শোডাউন করেছেন। এরি মাঝে বিপুল পরিমান আইনজীবী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় শোডাউন দিয়েছেন বিএনপির আইনজীবীরাও। শোডাউন শেষে আইনজীবী সমিতির সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বহিরাগতদের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া ও সমিতির সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।

এর আগে মুলত আগামী ২৮ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করতে গিয়ে তারা এই শোডাউন দেন। এতে এতদিন বিএনপির যেসব আইনজীবী নেতাদের মাঝে দূরত্ব ছিল সেইসব নেতারাও একসাথে হয়ে আদালতপাড়ায় শোডাউন দিয়েছেন। যে কারনে সমাবেশ করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপি প্যানেলের পক্ষে আইনজীবীদের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে নিজেদের মাঝে সকল বিভেদ বিভক্তি ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের প্যানেলের পক্ষে প্রচারনায় সামিল হয়েছে বিএনপির আইনজীবীরা। বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত হুমায়ুন-কামাল পরিষদের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নিয়েছে বিএনপির আইনজীবীরা।

সর্বপ্রথম গত ২১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েকশ আইনজীবী মিছিল নিয়ে নিয়ে পুরো আদালতপাড়া প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো আদালত চত্বর। অনেকদিন পর সকল বিএনপির আইনজীবীরা তাদের হারানো ভোটের অধিকার ফিরে পেতে গর্জে উঠেছিলো এদিন।

এসময় প্রার্থীদের সঙ্গে আইনজীবী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া, সমিতির সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নবী হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট রফিক আহাম্মেদ, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খোকা, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, অ্যাডভোকেট রকিবুল হাসান শিমুল, অ্যাডভোকেট কাজী আবদুর গাফফার, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক আলমগীর, অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদ মোল্লা, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম সিরাজী রাসেল, অ্যাডভোকেট আল আমিন সিদ্দিকী, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুল হক হান্টু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, আইনজীবী ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ বিএনপিপন্থী কয়েকশ আইনজীবী।

বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফ্রন্ট এর প্রার্থীরা হলেন সভাপতি পদে সরকার হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র সহ সভাপতি মানিক মিয়া, সহ সভাপতি আনোয়ারুল আলম রিপন, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক সালাহউদ্দিন ভূইয়া সবুজ, কোষাধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, আপ্যায়ন সম্পাদক জাহিদুর রহমান, লাইব্রেরী সম্পাদক মোহসীন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার জাহান, সমাজ সেবা সম্পাদক আসমা হেলেন বিথি, আইন ও মানবাধীকার বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর মাহমুদ, হাবিবুর রহমান, আসিয়া সুলতানা জেমী, হাফিজুর রহমান মাসুদ ও জামান হোসেন।