মোহসীন-মাহবুব প্যানেলের গুরুদায়িত্বে ৪ আইনজীবী নেতা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী ২৮ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানকে দিয়ে শক্তিশালী প্যানেল গঠন করেছে আওয়ামীলীগ। সূক্ষ্ম এই প্যানেল গঠনে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামীলীগের চারজন শীর্ষ আইনজীবী নেতা।

একই সঙ্গে এই প্যানেলকে জয়ী করতেও তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনের শুরুতেই চারজনের জোরালো ভুমিকা দেখা গেল। মুলত নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের বিশ্বস্ত এই চারজনের হাতেই এখন আদালতপাড়ার রাজনীতির দায়িত্ব বর্তিয়েছে। সেই দায়িত্ব পালনেও তারা বেশ সচেষ্ট।

আওয়ামীলীগের আইনজীবীরা বলছেন, এ বছর আওয়ামীলীগের শক্তিশালী প্যানেল গঠনে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রেখেছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও মহানগর আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ উর রউফ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলকে জয়ী করতে এই চার আইনজীবী নেতার ভুমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

জানাগেছে, নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের পূর্ণ প্যানেল মনোনয়ন দাখিল করেছে। মনোনয়ন দাখিল শেষে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন সিনিয়র আইনজীবী নেতারা। একই সঙ্গে পুুরো প্যানেলের পক্ষে দোয়া প্রার্থনা করেছেন মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া।

১৭টি পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী আইনজীবীদের নিয়ে একটি শক্তিশালী প্যানেল গঠন করা হয়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামীলীগের আইনজীবীরা। তারা আশা দেখছেন এবারও ১৭টি পদেই বিজয়ী হবে আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্যানেল। আদালতপাড়ায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান। যে কারনে এবারও তাদের উপরই আস্থা রেখেছেন নীতি নির্ধারণী আইনজীবী নেতারা।

১৩ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের সকল প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। এ সময় উপরোক্ত সিনিয়র আইনজীবী নেতা ছাড়াও অন্যান্য সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়ন দাখিল করে মোহসীন-মাহবুব প্যানেলকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ উর রউফ এবং সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন আইনজীবীরা।

আওয়ামীলীগ প্যানেলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট বরুণ চন্দ্র দে, যুগ্ম সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনি, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আসাদুর রহমান বিপ্লব, সমাজ সেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান ইনা, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া।

এদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও আইনজীবী সমিতির বর্তমান পরিষদে স্বপদে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন, অ্যাডভোকেট নূসরাত জাহান তানিয়া, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। বর্তমান পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা অ্যাডভোকেট বরুণ চন্দ দেকে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী করা হয়েছে। এ ছাড়াও কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক মিলন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, অ্যাডভোকেট আবু তাহের রানা ও অ্যাডভোকেট রোমানা আক্তার।

নির্বাাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র সংগহ ও দাখিলের তারখি। ১৪ জানুুয়ারি প্রার্থীতা যাচাই বাছাই ও প্রাথমিক বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে।

১৫ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারবে। ১৮ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৮ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ডিজিটাল বার ভবনের দ্বিতীয়।