তৈমূর-মামুনের নেতৃত্বের প্রতি জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের অনাস্থা!

সান নারায়ণঞ্জ টুুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৩০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

গত ৯ জানুয়ারি জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা শেষে ১১ জানুয়ারি প্রথম কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি।

১১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে জেলা বিএনপি মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বিভিন্ন থানা/উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছেন মিছিল নিয়ে। কিন্তু এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল ও জেলা ছাত্রদল।

বিএনপির সাংগঠনিক নিয়মে মাদার সংগঠনের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রতি। কিন্তু জেলা বিএনপির এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেনি জেলা যুবদল ও জেলা ছাত্রদল। যদিও বিভিন্ন থানা থেকে থানা/উপজেলার মাদার সংগঠনের সঙ্গে যুবদল ও ছাত্রদলের বেশকিছু নেতাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেল। যে কারনে নেতাকর্মীরা বলছেন এভাবে তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের পাশাপাশি তৈমূর-মামুনের নেতৃত্বের প্র্রতি তারা অনাস্থা প্রকাশ করলেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে নাখোশ কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া। কমিটিতে তাকে রাখা হয়নি। এমনকি দিপু ভুঁইয়ার অনুগামী কেউই এই কমিটির সদস্য পদেও নাই।

বর্তমান জেলা যুবদল বিএনপির রাজনীতির চেয়ে দিপু ভুঁইয়ার পারপাস সার্ভেই রাজনীতি করে আসছেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি কিংবা জেলা পর্যায়ের কর্মসূচিতে জেলা যুবদলকে তেমন একটা দেখা না গেলেও তারা দিপু ভুঁইয়ার জন্মদিন পালন করেন ঘটাও করে।

একইভাবে জেলা বিএনপির কমিটির প্রতি নাখোশ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। তিনি জেলা বিএনপির পরিচিত সভা ও প্রথম কর্মসূচিতেও আসেননি সুমন। সুমনের অনুগত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব রাজনীতি করেন তার পিতা আজহারুল ইসলাম মান্নানের পারপাস সার্ভ করতে। সোনারগাঁও থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে আসলেও সজীবকে জেলা ছাত্রদলের ব্যানারে দেখা যায়নি। ছিলেন না রনিও।