আ’লীগের কমিটিতে পুুলিশ হত্যা মামলার আসামি, আছে স্বর্ণ চোরাচালান মামলার আসামিও!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আওতাধীন আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল। ৭ জানুয়ারি অনুমোদিত কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুকে সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য খুরশীদ আলম সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অনুমোদন করা হয়।

তবে কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন আড়াইহাজারের সমালোচিত ও বিতর্কিত দুই ব্যক্তি। একজন পুলিশ কনস্টেবল রুবেল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি, আরেকজন স্বর্ণ চোরাচালান মামলার আসামি। দুজনেই দুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন। দুজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা বিচারাধীন। কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন যিনি পুলিশ কনস্টেবল রুবেল হত্যা মামলার আসামি। সদস্য পদে রয়েছেন হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আলী হোসেন ভুঁইয়া যিনি বিমান বন্দর দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান মামলার আসামি।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশ কনস্টেবল রুবেল হত্যার ঘটনায় কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপনকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নামে মামলা করা হয়। মামলায় আরো অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়। ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিহতের বড় ভাই কামাল হোসেন বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, চেয়ারম্যান স্বপনের উপস্থিতিতে ও হুকুমে তার লোকজন গুলি করে ও কুপিয়ে কনস্টেবল রুবেলকে হত্যা করে।

এ সময় বাধা দিতে গেলে রুবেলের বড় দুই ভাই, চাচী সহ মোট ১৮ জনকে কুপিয়ে ও টেটাবিদ্ধ করে আহত করা হয়। আহতদের মধ্যে এখনো ১৭ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা দেয়া হয়।

১ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তার বাবা রূপ মিয়াকে না পেয়ে তার ছোট ভাই পুলিশ কনস্টেবল রুবেলকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে।

অন্যদিকে ৭ কেজি ৩০০ গ্রাম সোনা চোরাচালান মামলার আসামি হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন ভুঁইয়া। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আলী হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে পলাতক থাকা অপর নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ঘটনা সূত্রে, ২০১৪ সালে বিমানবন্দর থানায় দায়ের হওয়া এ মামলায় ৬ বছর আগে প্রথম তদন্তর সময় এক আসামির স্বীকারোক্তিতে নাম আসে এই চেয়ারম্যান আলী হোসেনের। মামলার নথি থেকে দেখা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৪ সালের ২২ আগস্ট মালেশিয়ার কুয়ালামপুর থেকে আসা বিজি-৮৭ ফ্লাইটের যাত্রী নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার বড় আলমদি গ্রামের বাসাদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মাদ আল আমীন (২৫) এর কাঁধে থাকা স্কুল ব্যাগ তল্লাশী করে পাঁচটি এক কেজি, একটি ৫০০ গ্রাম ও ১৮টি ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার বার শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক উদ্ধার হয়। যার মোট ওজন ৭ কোজি ৩০০ গ্রাম। এছাড়া তার কাছ থেকে ২৬টি পাসপোর্টও উদ্ধার হয়।