রিমান্ড শেষে কারাগারে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের দায়েরকৃত সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন ও ছাত্রদল নেতা আবু মাসুমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

৮ নভেম্বর রবিবার দুপুরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ রিমান্ড শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুনের আদালতে উঠালে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ৬নভেম্বর শুক্রুবার বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুনের আদালত শহিদুর রহমান স্বপনের ৩দিন এবং শনিবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালত ছাত্রদল নেতা আবু মাসুমের ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আসামী শহিদুর রহমান স্বপন ও ছাত্রদল নেতা আবু মাসুমের রিমান্ড শেষে আদালতে উঠালে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর ৫নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান আমান বাদী হয়ে ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে শহিদুর রহমান স্বপনকে প্রধান আসামী করে ১০১ জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাকী আসামীরা হলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমন, রূপগঞ্জ যুবদলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা সজীব, নারায়ণগঞ্জ যুবদল নেতা দুলাল, সারোয়ার হোসেন রাজীব, আবু বক্কর, নয়ন, রাশিদুল হক ও গনির নাম উল্লেখ্য করে ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুর প্ররাচনায় বিদেশে অবস্থানরত তাদের দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে ল্যাপটপ প্রজেক্টরের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার লক্ষ্যে শলা পরামর্শ করিতেছে। গোপন সংবাদে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ।