২০১৫ সালের নির্বাচনে নৌকার জন্য যেভাবে তিনটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে পৌরসভা নির্বাচন হবে। এরি মাঝে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ৬ জন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। যাদের মধ্যে ৪ জনকে হেভিওয়েট প্রার্থী বলছেন পৌর আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। তবে ঘুরে ফিরে এও আলোচনায় এসেছে গত নির্বাচনে কিভাবে নৌকা প্রতীক ছিনিয়ে এনেছিলেন জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী।

এবারের নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতারা জানিয়েছেন, পৌর আওয়ামীলীগের সঙ্গে বৈঠক করে উপজেলা আওয়ামীলীগ প্রার্থী বাছাই করবে। কেন্দ্র থেকে একজন কিংবা একাধিক প্রার্থীর নাম চাওয়া হলে সেই সংখ্যা অনুযায়ী প্রার্থী বাছাই করে কেন্দ্রে নাম পাঠাবে জেলা আওয়ামীলীগ। তবে গত নির্বাচনে এই ধারাবাহিকতায় ছিল না। এবারের নির্বাচনেও সে রকম সিস্টেম মতই হবে কিনা তা নিয়েও বেশ সন্দেহ রয়েছে। কারন প্রার্থীরা এখনি যার যার মত করে লবিং গ্রুপিং করে দৌড়যাপ করছেন।

গত নির্বাচনেও প্রার্থী চূড়ান্ত করার আগেই পৌরসভার আমিনপুর মাঠে বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমানের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেন জেলার প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান ও স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। কিন্তু আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের জোড়ালো চেষ্টায় মনোনয়ন পান এমপি বাবুর ভগ্নিপতি অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী। কিন্তু নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিশাল অংশের বিরোধীতা ও জাতীয়পার্টির বিরোধীতার কারনে নৌকার প্রার্থী এটি ফজলে রাব্বীকে পরাজয় বহন করতে হয়।

সূত্রমতে, ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর তিন প্রার্থীর পক্ষে তিনটি চিঠি মনোনয়ন বোর্ডের কাছে জমা দেয়া হয়। পৃথকভাবে তিনজন প্রার্থীর পক্ষে তিনটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। একটি চিঠিতে দলীয় মনোনয়ন দিতে পৌরসভার বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমানের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। এটিতে সই করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আমজাদ হোসেন ও তাঁদের অনুসারী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা।

এরপর জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব করে আরেকটি চিঠি পাঠানো হয়। এটি পাঠান সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী সেলিনা আক্তার ও নাসরিন সুলতানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ মোল্লা, সহ-সভাপতি আজিমুদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সভাপতি খন্দকার আমিনুল হক ও সাধারণ সম্পাদক নেকবর হোসেনের অনুসারীরা।

অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান নিজের নাম প্রস্তাব করে সমর্থকদের নিয়ে আরও একটি চিঠি কেন্দ্রে জমা দিয়েছিলেন।