মন্ত্রী গাজীর সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে রূপগঞ্জবাসীর সেবার ব্রত নিয়ে নির্বাচনী মাঠে স্বপন ভূঁইয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে টানা তৃতীয় বারের মত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক)। সেই গাজী গোলাম দস্তগীর এবার মন্ত্রী পরিষদে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। এই মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া। কিন্তু বিগত দশটি বছর মন্ত্রীর গাজীর সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছেন স্বপন ভূঁইয়া। কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়ায়নি তিনি।

একজন সহজ সরল নম্র ভদ্র আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসলেও কোন ধরনের কালিমা তার রাজনীতিতে নেই। যে কারনে ক্লিন ইমেজধারী মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের পছন্দের কর্মী স্বপন ভূঁইয়া। এবার সেই মন্ত্রীর অক্ষুন্ন রাখতে মন্ত্রীর কর্মী হিসেবে রূপগঞ্জবাসীর সেবা করতে চান স্বপন ভূঁইয়া। ইতিমধ্যে নির্বাচনী মাঠে নেমে তিনি রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। সাড়া ফেলেছেন সাধারণ মানুষের মাঝে। তরুণ এই আইনজীবী নেতা রূপগঞ্জের তরুণ সমাজ ও বয়বৃদ্ধদেরও পছন্দের তালিকায় চলে আসছে বিতর্কের বাহিরে থাকার কারনে।

নেতাকর্মীরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হতে যাচ্ছে-২০১৯ এর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মধ্যমণি হয়ে ওঠেছেন ক্লিন ইমেজ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূইয়া।

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এ নিয়ে দিন দিন উপজেলার ভোটারদের মাঝে উৎসাহ উত্তীপনা ও আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে নির্বাচনে স্বপন ভূঁইয়া প্রার্থী হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সাড়া ফেলেছে ব্যাপকভাবে। চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লা, মাঠঘাট, হাটবাজার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে ছুটে যাচ্ছেন স্বপন ভূঁইয়া।

এলাকাবাসীদের মতে, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া একজন অনুশীলিত, পরিশীলিত, পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক কর্মী হিসেবে রূপগঞ্জের মানুষের কাছে পরিচিত। রুপগঞ্জ উপজেলার তিনি একজন বহুল পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ। সবাই তাকে সহজ সরল নম্র ভদ্র হিসেবেই চিনেন। সাধারণ জনগণের মাঝে তিনি একজন আপন ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন তার ক্লিন ইমেজ নিয়ে। দলমত নির্বিশেষে রুপগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এই আইনজীবীকে।

আরও জানাগেছে, ছাত্রলীগের একজন তৃনমূল থেকে ওঠে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান এখন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রয়েছেন তিনি সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে। এর আগেও তিনি কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। এখন স্বপ্ন দেখছেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে জনগণের জন্য কাজ করার। তার স্বপ্ন রূপগঞ্জের মানুষের সেবক হতে চান। তবে এসব স্বপ্নের মাঝেও রয়েছে তার কঠোর পরিশ্রম। একজন নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী তীল তীল করে রাজনীতিতে ওঠে আসছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে একমাত্র মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) পাট ও বস্ত্র মন্তীর সুদৃষ্টি অর্জন করেছেন স্বপন ভুইয়া।

এদিকে ১৯৯৭ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তিনি মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের জিএস প্রার্থীও ছিলেন। তবে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার কারনে নির্বাচনে তিনি দাড়াননি। তবে পদে না আসলেও তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন অগ্রভাগে। নারায়ণগঞ্জ থেকে এবার একমাত্র মন্ত্রীত্ব পাওয়া পাট ও বস্ত্রী মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক) এর বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের এই নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী নেতা ২০০১ সালের পর জোট সরকার আমলে মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। তারপর রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি নির্বাচিত হন। তার কয়েক দিন পর রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তিনি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫ জনের কমিটিতে তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ছাত্রলীগের এই শীর্ষ পদে থেকে পুরো উপজেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কমিটি গঠনে কাজ করেন। যার ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আহ্বানও রাখেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হলে তিনিই ওই সময় সভাপতি নির্বাচিত হতেন। যা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বয়স ৩১ নির্ধারণ করায় তিনি আর সেই পদে প্রার্থী হতে পারেননি।

২০১০ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এর আগে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি পুরোদমে আইন পেশায় মনোযোগী হন। ভার্সিটি জীবনেও তিনি ভার্সিটিতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আইন পেশায় এসে তিনি ২০১৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি একই পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালিত আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান যার বাবা আফজাল হোসেন ভূঁইয়া ছিলেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। প্রয়াত আফজাল হোসেন ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে জনগণের সেবা করেছেন। বর্তমানে মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম দুলাল মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের জিএস। আপন বড় ভাই খোকন ভূঁইয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি। এছাড়াও আরেক ছোট ভাই আবু ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত।

এছাড়াও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এখন সদাচারী নম্র ভদ্র সহজ সরল আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া একই সঙ্গে রূপগঞ্জের সামাজিক কর্মকান্ডেও সক্রিয়। রয়েছেন রূপগঞ্জের স্থানীয় অনেষা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। সহযোগীতা করে আসছিলেন ছোট ছোট বিদ্যালয়ের অনেক কর্মকান্ডেও। রয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। তিনি বর্তমানে রূপগঞ্জ শিল্পগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠনের সভাপতির পদেও রয়েছেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (সদস্য) ছিলেন। তিনি মানুষের সেবা করেছেন। বাবার মত আমিও মানুষের সেবক হতে চাই। আমি চাই রূপগঞ্জবাসীর সেবক হতে। সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী।