সোনারগাঁও পৌর নির্বাচন নিয়ে বোমা ফাটালেন মৌসুমী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে এরি মাঝে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশিরা। কেউ কেউ লবিং করছেন। গত নির্বাচনের ধানের শীষের প্রার্থী মোশারফ হোসেন এবারও নির্বাচন করবেন।

এবার নতুন করে আলোচনায় জাতীয়পার্টি থেকে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সহধর্মিনী ডালিয়া লিয়াকত। তবে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র পৌরবাসীকে সাবধান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। সরাসরি তিনি কারো নাম উল্ল্যেখ না করলেও তিনি জাতীয়পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও তার সহধর্মিনীর পক্ষে যে লেখাটি পোস্ট করেননি সেটা অনুমেয়। কিছুটা ইঙ্গিত আবার তাদের দিকেই মিলে যায়। রীতিমত তিনি বোমা ফাটিয়েছেন।

২ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে অনন্যা হুসেইন নামের একটি আইডি থেকে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী পৌরবাসীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার। অনেক প্রার্থী দেখলাম। ভালো লেগেছে খারাপও লেগেছে। গত নির্বাচনেও অনেক প্রতিযোগিতা হয়েছে, সাদেক সাহেব সম্মানিত ব্যক্তি কিন্তু ওনি তো চলতেই পারেনা তবুও ক্ষমতায় থাকার মজা আর স্বাদ পেলে কেউ ছাড়তে চায়না নতুনদের সুযোগ দেয়া উচিৎ। নতুন নতুন অনেককেই দেখছি। সবই ঠিক ক আছে।’

তিনি আরও লিকেছেন, ‘কোন কোন ভাড়াটিয়াও নাকি নতুন ভোটার হইছে? মানুষ কি এতোই বোদাই পুরান পাগলে ভাত পায়না নতুন পাগলের আমদানি? পেট ভরেনা এক এক জনের। পৌরবাসির সবাইকে বলবো, মার থেকে মাসীর দরদ বেশী দেখলে মনে করবেন সে রাক্ষুসি। মানুষ খেকু। রক্ত চুষা। এরা ধান্দাবাজ, ধান্দা করে চলে যাবে। এদের সাথে যাহারা আছে ওরাও ফায়দা লুটতে আসছে। সাবধান পৌরসভার মা বোন ভাইয়েরা। পৌর মেয়র যেই হক সে যেনো পৌরসভার হয়, তার নাড়ীর সাথে যেনো মাটির সম্পর্ক থাকে। তার বাবা মার দাদা দাদীর বাড়ী এখানে হয়। তা হলে সোনারগাঁ পৌরসভার উন্নতি হবে, উন্নয়ন হবে। কিন্তু এখানে নতুন ভাড়াটিয়া পৌর মেয়র হলে ধান্দা করতে আসবে, পয়সা কামাই করে চলে যাবে। এটাই সত্য। ভুল করলে পরে বুঝবেন। আর মনে রাখবেন আমার কথাটা।’

অন্যদিকে জানাগেছে, ২০১৪ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশা করে আসছিলেন মৌসুমী। এর আগে থেকে তিনিই সোনারগাঁও জাতীয়পার্টির হাল ধরেছিলেন। ওই সময় জাতীয়পার্টি বলতে মৌসুমীকেই বুঝানো হতো। কিন্তু ২০১৪ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয়পার্টির লাঙ্গলের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হোন এমপি খোকা।

তারপর থেকে সোনারগাঁয়ে পদচারণায় থাকলেও উদ্ধবগঞ্জ এলাকায় জাতীয়পার্টির অফিসে হামলার শিকার হন বলে থানায় অভিযোগ করেছিলেন মৌসুুমী। তারপর থেকে সোনারগাঁয়ে তার যাতায়াত কমিয়ে দিলেও গত নির্বাচনে তিনি মাঠে নামেন এবং দলের মনোনয়ন চান। কিন্তু এবারও তিনি বঞ্চিত হোন। সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির একক কর্তৃত্ব এখন এমপি খোকার হাতে। গত নির্বাচনেও এমপি খোকা নির্বাচিত হোন সেটার ইতিহাস সবারই জানা।