র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃত জনি ক্রসফায়ারে নিহত মাস্টার দেলুর সহযোগী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১১’র নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প জনি নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই সময় তার কাছ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১’র নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত পৌনে ৭টায় র‌্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন শিংলাব গ্রামস্থ মোল্লা টাওয়ারের পাশে বালুর মাঠে মাদক উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জনিকে গ্রেপ্তার করেছে।

ওই সময় মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩৭০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত ১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের বাজার মূল্য ১ লাখ ১১ হাজার টাকা।

মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জনি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার তল্লা বড় মসজিদ এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে।

র‌্যাব আরও জানায়, উল্লেখিত ধৃত আসামী উক্ত এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

অন্যদিকে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, জনি ওরফে গুল্লী জনি ক্রসফায়ারে নিহত মাষ্টার দেলুর সহযোগী ছিলো। মাষ্টার দেলুর খুন, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। তবে মাষ্টার দেলু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর জনি ওরফে গুল্লী জনি পলাতক ছিল। পরে কিছু দিন পলাতক থেকে পুণরায় তল্লা, হাজীগঞ্জ, কিল্লারপুল, খানপুর সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রি করে আসছিলো। সময়ের ব্যবধানে মাষ্টার দেলুর মত পুরো শহরে মাদকের সম্রাট হয়ে ওঠে। আর খানপুর রেল লাইন থেকে চাঁনমাড়ি রেল লাইন পর্যন্ত প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন মাদক বিক্রেতা দিয়ে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করতো। এছাড়াও কেউ বাধা দিলে মানুষকে মারধর করতো।