র‌্যাবের অভিযানে নারীসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর থেকে ও নরসিংদী জেলার শিবপুর থেকে র‌্যাব-১১ এর অভিযানে এক নারী সহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।

তিনি জানান, ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন কাঁচপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত র‌্যাব-১১ এর চেকপোস্টে সিলেট হতে ঢাকাগামী মিতালী পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশী করে ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ওই সময় মোছাম্মদ ইয়াসমিন আক্তার জুঁই (২২) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যদিকে একই সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানাধীন সৈয়দেরগাঁও এলাকা হতে আরও ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ওই সময় মোঃ মহিব শেখ ও মোঃ বুরুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের হেফাজত হতে মাদক বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি ট্রলি ব্যাগ জব্দ করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, আসামী ইয়াসমিন আক্তার জুঁইয়ের বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানাধীন গুনিত্তক এলাকায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পরিবহন যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হতে অভিনব পন্থায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা নিয়ে এসে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। তার একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা।

গ্রেপ্তারকৃত ইয়াসমিন আক্তার জুঁইকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে নরসিংদী জেলার মাদক ব্যবসায়ী মহিব শেখকে গাঁজা সরবরাহ করতো। মহিব শেখ অপর গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ বুরুজ মিয়ার যোগসাজশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয় বিক্রয় করতো বলে জানা যায়।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মহিব শেখ ও মোঃ বুরুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ মহিব শেখের বাড়ী বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানাধীন বড়গুনি এলাকায় ও মোঃ বুরুজ মিয়ার বাড়ী নরসিংদী জেলার শিবপুর থানাধীন আলীনগর এলাকায় বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, পরষ্পর যোগসাজশে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসায়ী ইয়াসমিন আক্তার জুঁইয়ের মাধ্যমে নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে এবং কৌশলে পরিবহন করে নিয়ে এসে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে থাকে।