সোনারগাঁয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার পালিয়ে বিয়ে: দুই পরিবারের সংঘর্ষে আহত ১৯

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার নিজস্ব মতে বিয়ের জের ধরে ছেলে মেয়ের দুই পরিবারের স্বজনদের মাঝে তুমুল সংঘর্ষে ১৯জন আহত হয়েছেন। মুলত মুন্সীগঞ্জ থেকে সোনারগাঁও ওই প্রেমিকের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে নিতে এসে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন মেয়ের বাড়ির লোকজন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার হামছাদী ধনপুর গ্রামে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী ধনপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে বশির মিয়ার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে ফাতেমা আক্তার গত তিন মাস আগে পালিয়ে গিয়ে প্রেমের বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে ফাতেমা আক্তার তার স্বামী বশির মিয়ার বাড়িতেই বসবাস করছিলেন।

গত কিছুদিন পূর্বে ফাতেমা আক্তারকে তার বাবা বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে ছেলে বশির মিয়ার বাড়িতে আসেন। এ সময় মেয়ে তাদের বাড়িতে যেতে অনীহা জানায় এবং ছেলের বাড়ির লোকজনও তাকে যেতে দেয়নি। এতে মেয়ের স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে তর্কবিতর্ক করে চলে যান।

এদিকে তাদের সঙ্গে মেয়েকে যেতে না দেওয়ায় মেয়ের স্বজনরা ও হামছাদী এলাকায় তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছেলের বাবার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে।

এ সময় তাদের বাধা দেওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছেলের পক্ষের দুলাল মিয়া, শান্ত, বশির মিয়া, মোক্তার হোসেন, মিজানুর রহমান, হৃদয়, অনিক মিয়া, হাজেরা বেগম, মেহেরুন আক্তার এবং মেয়ের পক্ষের শাহাবুদ্দিন, আল আমিন, হৃদয় মিয়া, জহির হোসেন, আবু বকর মারাত্মকভাবে আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে দুলাল মিয়া, শান্ত ও আবু বকরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় দু’পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে বশির মিয়ার বাবা নাসির উদ্দিনের দাবি, আমার পুত্রবধুকে তার স্বজনরা জোরপূর্বক তুলে নেওয়া চেষ্টা করে আমরা বাধা দেওয়ায় আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে আমাদের লোকজনকে কুপিয়ে আহত করেন।

অপর দিকে মেয়ের ফুফাতো ভাই শহীদ মিয়ার দাবি, আমার বোনকে বাড়িতে নেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে গেলে তারা আমাদের দেখেই হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করেন।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে থানায় দুপক্ষের লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।