সোনারগাঁও সাদিপুরে ভেজাল ড্রিংকস কারখানায় র‌্যাবের অভিযান, গ্রেপ্তার ১

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে একটি ভেজাল ড্রিংকস কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-১১। ওই সময় ভেজাল খাদ্য পানীয় উৎপাদনের দায়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কৌশলে পালিয়ে যায় কারখানার এমডি ও ম্যানেজার। জব্দ করা হয় ভেজাল পানীয়। ১১ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ১০ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন সাদিপুর এলাকায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত র‌্যাব-১১, সিপিএসসি এর অভিযানে অননুমোদিত কারখানায় ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরির সময় মজিবুর রহমান নামের ১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় কারখানায় তৈরি অবস্থায় ১০০ মিঃলিঃ ওজনের ১২৯৬ বোতল অরেঞ্জ ফ্লেভার ড্রিংক, ১০০ মিঃলিঃ ওজনের ১৫১২ বোতল লিচি ফ্লেভার ড্রিংক, ১০০ মিঃলিঃ ওজনের ১১৫২ বোতল লাচ্ছি এডেড মিল্ক, ৪ কেজি সাইট্রিক এসিড, ৪ কেজি তরল ম্যাংগো ফ্লেভার, ২ কেজি পটাসিয়াম সালফেট এবং ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় বোঝাই ১টি মিনি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য যে, উক্ত অভিযানের সময় কারখানার এমডি মোঃ রশিদ আলী ও কারখানার ম্যানেজার মোঃ সুজন মাহমুদ কৌশলে পালিয়ে যায়।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সহ পলাতক আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে কয়েক বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন সাদিপুর এলাকায় জনৈক ছানোয়ারের বাসা ভাড়া নিয়ে সরকারী অনুমোদন না নিয়ে ‘আর এন আর ড্রিংকস এন্ড এগ্রো প্রোডাক্টস’ নামক ফ্যাক্টরী চালিয়ে আসছিল। উক্ত ফ্যাক্টরীতে ‘পাতাকুড়ি’ ব্র্যান্ড নাম ধারণ করে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় অরেঞ্জ ফ্লেভার ড্রিংক, লিচি ফ্লেভার ড্রিংক ও লাচ্ছি এডেড মিল্কসহ বিভিন্ন ধরণের ভেজাল পানীয় বিএসটিআই এর অনুমোদন না নিয়েই বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে।

‘পাতাকুড়ি’ ব্র্যান্ড এর পণ্য তৈরির জন্য লেবেলে ব্যবহার করা ঠিকানা রায়েরবাগ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা বাংলাদেশ থাকলেও তারা অবৈধ উপায় অবলম্বন করে সোনারগাঁ থানাধীন সাদিপুর এলাকায় অবস্থিত ফ্যাক্টরীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে যা শিশু ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।

অনুসন্ধানে জানা যায় যে, উক্ত ফ্যাক্টরীর নামে কোন ভ্যাট রেজিঃ নেই। তারা কোন প্রকার মূসক প্রদান না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই সকল অননুমোদিত ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল।