৪ কমিটি রফাদফায় জেলা ছাত্রদলে ৬০ লাখ টাকা বানিজ্যের অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আওতাধীন ৪টি থানা কমিটি গঠনে ইতিমধ্যে ৬০ লাখ টাকা বানিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এর আগে ‘টাকার বিনিময়ে কমিটি মানবো না’ শ্লোগানে রূপগঞ্জে মানববন্ধন করেছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, ফতুল্লা ও সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের মাঝে রফাদফা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

দুটি কমিটি সভাপতি ও সেক্রেটারির মাঝে ভাগবাটোয়ারা হয়েছে এবং বাকি দুটি রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার কমিটি নিয়ে ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতাকর্মীরা। তবে এখনও কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি জেলা ছাত্রদল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মীরা টাকার বিনিময়ে কমিটি গঠনের চেষ্টা হচ্ছে দাবি করে জোড়ারো প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কমিটি ঘোষণার আগেই অর্থের লেনদেনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের পদে থাকা বেশকজন নেতা সহ বিভিন্ন থানায় পদ প্রত্যাশি নেতারা অভিযোগ করেছেন- ফতুল্লা থানা এলাকায় নিজের মনগড়া মত কমিটি গঠন করবেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি এবং সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীব তার মনগড়া মত সোনারগাঁয়ে কমিটি গঠন করবেন। দুই থানার কমিটি সভাপতি ও সেক্রেটারি মাঝে ভাগাভাগি হয়েছে।

অন্যদিকে রূপগঞ্জে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভু্ইঁয়ার অনুগামী নাহিদ হাসান ভূঁইয়া সহ পুরো কমিটি দিপু ভুঁইয়ার অনুগামীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সঙ্গে থাকবেন মশিউর রহমান রনির এক আত্মাীয় মিঠু নামের একজন। এখানে দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতি করে ত্যাগ স্বীকার করেছেন মাসুদুর রহমান মাসুদ ও সুলতান আহম্মেদের মত ছাত্রদল নেতারা। ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে এই কমিটি দিপু ভুঁইয়ার হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। রহস্যজনক কারনে রূপগঞ্জের সন্তান জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মিয়া ও যুগ্ম সম্পাদক ইসমাঈল মামুনও চুপসে রয়েছেন।

এদিকে আড়াইহাজারে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ অনুগামী মোবারক হোসেনকে আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন অনুগামী জুবায়ের হোসেন জিকুকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষণার চেষ্টা চলছে বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ। এখানে আজাদ ও সুমন এই দুজনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা উপটোকন হিসেবে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক আড়াইহাজার ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়ে আসলেও তার টাকা না থাকায় তাকে কমিটির নেতৃত্বে রাখা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ।

আড়াইহাজারের সন্তান জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমর্থনেই মোবারক হোসেনের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ছাত্রদল। ইতিমধ্যে মোবারক হোসেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিভিন্ন সভা সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগদানের ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। জিকুকে বছর খানিক আগেও ছাত্রদলের রাজনীতিতে দেখা যায়নি। যদিও এখানে আজাদ ও সুমন দুজনেই চেয়েছিলেন তাদের নিজেদের কব্জায় ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হোক। কিন্তু জেলা ছাত্রদল দুদিকেই পা দিয়ে সুবিধা নিয়ে দুজনের লোককেই কমিটিতে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

এ অভিযোগের বিষয়ে ২২ জুলাই বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে তার গ্রামীণফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার এয়ারটেল নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীবের মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

ছবি- প্রথম ছবিতে অর্থের বিনিময়ে ছাত্রদলের কমিটি মানবো না শ্লোগানে মানবন্ধন, দ্বিতীয় ছবিতে ছাত্রদলের তিন কর্মীকে বেধে মারধর করছে ছাত্রলীগ ও তৃতীয় ছবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাস্যোজ্জল দিপু ভুঁইয়া।

অন্যদিকে গত ১৬ জুলাই রূপগঞ্জ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘কোন ধনকুবেরের টাকার বিনিময়ে কমিটি মানবোনা, ত্যাগের মুল্যায়ন চাই’ এমন সব দাবিতে মানববন্ধন করায় ছাত্রদলের তিন কর্মীকে ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে বেধে নির্যাতন চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার জন্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়াকে দায়ী করেন নেতাকর্মীরা। এমন বিষয়টি আরো রহস্য দেখা দেয় ছাত্রদলের তিন কর্মীকে বেধে মারধর করা হলেও জেলা ছাত্রদল কোন ধরণের প্রতিবাদ কিংবা বিবৃতিও দেয়নি। ফলে নেতাকর্মীরা আগেই ধরে নিয়েছেন দিপু ভুঁইয়াতে জেলা ছাত্রদল ম্যানেজ!

তবে জেলা ছাত্রদলের নানা বিবৃতি প্রদানকারী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজের কাছে প্রতিবাদ না জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আসলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারির নির্দেশনা পেলে আমি বিবৃতি মিডিয়াতে পাঠাই। আমি তো দায়িত্বশীল কেউ না। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ফেসবুকে ওই ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এখন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি কেন কোন প্রতিবাদ করলো না সেটা তারা বলতে পারবে।

রূপগঞ্জের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে রূপগঞ্জে ছাত্রদলের কর্মকান্ডে স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি উপটোকনের বিনিময়ে কমিটির নিয়ন্ত্রণ ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া। দিপু ভুঁইয়ার ব্যক্তিগত এক কর্মী নাহিদ হাসান ভূঁইয়াকে উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে বসাতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীবকে ম্যানেজ করার চেষ্টায় নেমেছেন। রূপগঞ্জের ছাত্রদলের তিন কর্মীকে দড়ি দিয়ে বেধে পেটালেও জেলা ছাত্রদল চুপসে থাকায় নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছেন তারা দিপু ভুঁইয়ায় ম্যানেজ হয়ে গেছেন।

তবে কমিটির এমন খবরটি যখন নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তখন নেতাকর্মীরা রূপগঞ্জের ধনকুবেরের ‘টাকার বিনিময়ে কমিটি মানবো না’ শ্লোগানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করেন। ওই মানববন্ধন করে নেতাকর্মীরা বাসায় যাওয়ার পথে ছাত্রদলের তিন কর্মীকে ভুলতা ফ্লাইওয়ারের নিচে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন করে ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসীরা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী কিংবা আওয়ামীলীগ বিরোধী কোন কর্মসূচি পালন করেনি। তারা ছাত্রদলের কমিটি যারা টাকার বিনিময়ে নিতে চায় এবং ত্যাগীদের মূল্যায়নের দাবিতে মানববন্ধন। এতে ছাত্রলীগ কেন এসে মারধর করলো? ছাত্রলীগের এমন নির্যাতনের পেছনে নিজ দলের নেতাকেই দায়ী করে আসছেন নেতাকর্মী। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পষ্ট করছেন নেতাকর্মীরা।

মুলত দিপু ভুঁইয়ার কর্মী নাহিদ হাসান ভুঁইয়াকে যেনো টাকার বিনিময়ে কমিটির নেতৃত্বে না দেয়া হয় সেই লক্ষ্যেই মানববন্ধন করেন নেতাকর্মীরা। অথচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এসে মারধর করলো ছাত্রদল নেতাকর্মীদের। যে কারনে শুরু থেকেই দিপু ভুঁইয়ার সঙ্গে ছাত্রলীগের যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করেছিলেন। মারধরের পর বুঝা গেল ছাত্রলীগ দিপু ভু্ইঁয়ার পক্ষ নিয়েছে। গত কয়েকদিনে বিষয়টি ফেসবুকে স্পষ্ট করে তুলেছেন নেতাকর্মীরা।

গত ১৭ জুলাই শুক্রবার ফারুক হোসেন নামের একজন বিএনপি নেতা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিন কর্মীকে মারধরের ছবি ও ছাত্রলীগের সঙ্গে দিপু ভুঁইয়ার ছবি পোস্ট করেন যা ছড়িয়ে পড়ে। ফারুক হোসেন লিখেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের লিজেন্ড নেতারা অবশ্যই বুঝবেন ছবি দুটির গুরুত্ব কি। এতকিছুর পরওও যদি ভুয়া গ্রুপ কোন পদপদবী পায় তবে বুঝবো ছাত্রদল টাকায় বিক্রি হয়ে গেছে। এ দলে রাজপথে ত্যাগী নেতাদেওর কোন মুল্য নাই। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলে বা রূপগঞ্জ ছাত্রদলে আবু সুলতান গ্রুপের কোন বিকল্প নাই। (প্রথম ছবিটি ভুলতা ফ্লাইওভার এ আবু গ্রুপের ছাত্রদলের কর্মীদের রেখেছে, দ্বিতীয় ছবিটি ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দেও সাথে দিপু ভুঁইয়া)।’ এভাবে তিনিও স্পষ্ট করেন। বিএনপির এই নেতা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরের অনুগামী।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানাগেছে, গত ১৫ জুলাই বুধবার ওই মানববন্ধন শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবু, আলামিন হোসাইন ও বিজয় হোসাইনকে ফ্লাইওভারের নিচে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন করে। বিএনপি নেতা দিপু ভুঁইয়ার ইন্ধনেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর এমন অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়। একই দিন ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুমের বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা।

এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। একইভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম ছাত্রদলের ওই তিন নেতাকে বেধে রাখার ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে দিপু ভুঁইয়াকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে এই ছবিটার চিত্রনাট্য লিখেছেন নিজ দলের এক ধনকুবের! যা সম্পূর্ণ পরিস্কারভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে গেছে। মুখোশের উপরিভাগে ছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ। যাদের নাম শুনলে আগ থেকেই ঘৃনায় মুুখ ঘুরিয়ৈ নেন মানুুষজন।’ আবু মাসুমের এমন পোস্টে ছাত্রদলের বেশকজন নেতাকর্মী ভূঁইয়াকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে দিপু ভুঁইয়াকে এর জবাব ভবিষৎে দিতে হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন।

এর আগে দিপু ভুঁইয়াকে ইঙ্গিত করেই আবু মাসুম লিখেছেন, মন খারাপের সময় কাহারো অনুকম্পা ভাল লাগেনা, শুধু শিখতে চাই, ধন্যবাদ ভূঁইয়া সাহেব।’ পরবর্তীতে আবারও লিখেছেন, ‘প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর বিএনপি-রুপী দালালদের টনক নড়ছে! খেলা শেষ বৃথা চেষ্টা কইরা লাভ নাই। আমজনতার কাছে সব পরিষ্কার।’

ওই সময় কেউ কেউ দাবি করেছিলেন- ছাত্রদলের কমিটির নিয়ন্ত্রণে নিতে স্থানীয় এক ধনকুবের নেতা মোটা অংকের উপটোকনে জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করে কমিটি ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। সবশেষ টাকার বিনিময়ে কমিটি মানিনা দাবিতে ১৫ জুলাই বুধবার মানববন্ধন করেন নেতাকর্মীরা।

এখানে রূপগঞ্জের রাজনীতিতে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া। যদিও গত ২১ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করার পর কাজী মনিরের ছায়াও রূপগঞ্জের রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছেনা। বর্তমানে তৈমূর আলম খন্দকার ও দিপু ভুঁইয়াই রূপগঞ্জের বিএনপির মধ্যে আলোচনায়। যেখানে রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ডে দিপু ভুঁইয়া সক্রিয় না থাকলেও দলের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে তার চারপাশে ঘুরঘুর করা কর্মীদের বড় বড় পদে অধিষ্ট করার কাজটি ঠিকই করছেন। যাহোক এই তিন নেতার সঙ্গেও রাজনীতি করেছেন এমন ছাত্র নেতাও রয়েছেন বেশকজন। তাদেরকে বাদ দিয়েই কমিটি একতরফা করার চেষ্টা।

নেতাকর্মীদের দাবি- নাহিদ হাসান ভূঁইয়ার চেয়ে মাসুদুর রহমান মাসুম, সুলতান ও সোহরাবদের মত বেশকজন নেতার রাজপথে ঘাম রয়েছে বেশি। যারা হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নাহিদ হাসান ভূঁইয়ার সেই তুলনায় রাজপথে তেমন কোন ভুমিকা নাই। তার ভুমিকা স্থানীয় বিএনপি নেতা দিপু ভুঁইয়ার চারপাশে ঘুরঘুর করা। নাহিদ হাসান ভূঁইয়াকে ছাত্রদলের নেতৃত্বে বসানো হলে বঞ্চিত হবেন রাজপথের নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে প্রমাণিত হবে টাকার বিনিমেয়ই ত্যাগের অবমূলায়ন ও কমিটি গঠন করা হয়েছে যেখানে নাহিদ হাসান ভূঁইয়াকে অধিষ্ঠিত করে। কারন নাহিদ হাসান ভূঁইয়াকে নেতৃত্বে বসাতে মোটা অংকের উপটোকন নিয়ে নেমেছেন বিএনপির একজন ধনকুবের নেতা।

যদিও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি বরাবর সব সময় দাবি করে আসছেন- কেউ কোন বিশেষ সুবিধা দিয়ে কিংবা উপটোকন দিয়ে বা চাপ প্রয়োগ করে কমিটি নিতে পারবেনা। যারা রাজপথে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করেছেন এবং যোগ্য তাদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেয়া হবে। তাদের এমন বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটছে না।