আধুনিক হতে যাচ্ছে জ্যোতি বসু মেমোরিয়াল লাইব্রেরি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জ্যোতি বসু মেমোরিয়াল লাইব্রেরিকে ঢেলে সাঁজাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। ১৯ জুলাই রবিবার সকালে তিনি জ্যোতি বসুর বাড়ির লাইব্রেরি ও সেমিনার কক্ষটি পরিদর্শন করেন এবং তার নিজস্ব পরিকল্পনার কথা জানান লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে, সেই সঙ্গে লাইব্রেরি চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা আশ্বাস দেন ইউএনও।

জানা যায়, ২০১০ সালে জ্যোতি বসুর মৃত্যুর পর তার স্মৃতি ধরে রাখতে বারদীতে একটি গ্রন্থাগার করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১১ সালের ৪ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরে গ্রন্থাগারের নির্মাণকাজ শুরু করে। ভবনের প্রথম তলায় পাঠাগার কক্ষ, মহাফেজখানা ও শৌচাগার। দ্বিতীয় তলায় করা হয়েছে জাদুঘর ও সেমিনার হল। ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্যোতি বসু স্মৃতি পাঠাগার ও জাদুঘরের আনুষ্ঠনিক উদ্বোধন করেন।

ইউএনও সাইদুল ইসলাম জানান, লাইব্রেরিটি পুস্তক সমারোহে যথেষ্ট সমৃদ্ধ না। তবে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে এখানে রয়েছে বই পড়ার অফুরন্ত সুযোগ। এই লাইব্রেরিটি আরো ঢেলে সাজাতে আমার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনার কথা আমি লাইব্রেরি কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। যেমন পাঠকের জন্য পেইড বেসিস চা /কফির ব্যবস্থা রাখা, জ্যোতি বসুর জীবন সংগ্রাম পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে উপস্থাপন, দর্শনার্থীদের জন্য শেড তৈরি, একটি শিশু কর্নার তৈরি করা। উপজেলা প্রশাসন এই বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তিনি সমাজের বিত্তবানদের উদ্যেশে বলেন, লাইব্রেরিটিকে সমৃদ্ধ করে তুললে আপনিও কিছু বই উপহার হিসেবে দিন। আপনি ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লাইব্রেরিতে আসুন বই পড়ুন।

তিনি আরো বলেন, একটি মেধা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তুলতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা লাইব্রেরির পাঠক তৈরি করে আলোকিত মানুষ সৃষ্টি করতে চাই। বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করে, অর্জিত জ্ঞান যদি আমরা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করি, তাহলেই আগামী প্রজন্ম আলোকিত মানুষ হবে।

সূত্র: কালেরকন্ঠ