আড়াইহাজারে ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশি ফেরদৌস

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নেই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি। অনেকটা অভিভাবকহীনভাবেই চলছে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদল। তবে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ছাত্রদলে কমিটি দেওয়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করেছেন জেলার শীর্ষ নেতারা। ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে কিংবা আহ্বায়ক কমিটি হলে নেতৃত্বে আসছেন ছাত্রদলে কারা? এরি মাঝে নেতৃত্ব প্রত্যাশি ছাত্রদল নেতা মো: ফেরদৌস ভূঁইয়া।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ফেরদৌস ভূঁইয়া উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিরোন ভূঁইয়ার আপন ভাতিজা।

তারা জানান- তার আপন দাদা মরহুম মোঃ মঙ্গল রহমান ভূঁইয়া ছিলেন আড়াইহজার উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

এ ছাড়াও তিনি ছিলেন আড়াইহজার উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার।

ছাত্রদলের এই নেতা ২০১২ সালে এসএসসি পাস ও ২০১৪ সালে সরকারি সফর আলী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে তিনি সরকারি সফর আলী কলেজে ডিগ্রির শেষ বছরের নিয়মিত ছাত্র।

তিনি দাবি করেন- এই ছাত্রদল রাজনীতি করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হাতে বারবার হামলার শিকার হয়েছেন, তারপরেও শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে এখনো রাজপথে আছেন।

ছাত্রদল নেতা ফেরদৌস সান নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমার রাজনৈতিক গুরু আড়াইহাজার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। আমি খসরুকে আমার অভিভাবক মনে করতাম। তার চলে যাওয়া আড়াইহাজারবাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আগামী ১১ জুলাই তার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। আমি শ্রদ্ধার সহিত তাকে স্মরণ করছি এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি যেন আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু আড়াইহাজারবাসীর কাছে তার রেখে যাওয়া সুযোগ্য সন্তান মাহমুদুর রহমান সুমন আমাদের বটবৃক্ষের মত সবর্দা ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন। আমিও মূলধারা সুমনের সঙ্গে সমন্বয় করে ছাত্র রাজনীতি করে আসছি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীবের প্রতি আস্থা রেখে এই ছাত্রদল নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অতি বিচক্ষণ ব্যক্তি। আমার বিশ্বাস তারা আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের নেতৃত্ব একজন যোগ্য ব্যক্তির হাতে তুলে দিবেন। কোন অযোগ্য ব্যক্তিকে শীর্ষ পদে স্থান করে তাদের দীর্ঘদিনের সুনাম ম্লান করবেন না।