পূর্ণাঙ্গ কোর্ট চালুুর দাবিতে ৫ম দফায় আইনজীবীদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নিয়মিত কোর্ট চালুর দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ৫ম দফায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন আইনজীবীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি নিয়মিত চলবে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তারা দাবি তুলেছেন- ভার্চ্যুয়াল কোর্ট বাতিল করে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে নিয়মিত কোর্ট অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ কোর্ট চালু করা হোক।

৬ জুলাই সোমবার দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগেও টানা ৪দিন একই সময় একই স্থানে একই দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন আইনজীবীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত গোটা মানবসভ্যতা। তবুও জীবন ও জীবিকা রক্ষার প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল দপ্তর খুলে দেয়া হয়েছে কিন্তু তিন মাসেরও বেশি সময় যাবত দেশের আদালতগুলোর সকল কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে।

তারা আরও বলেন, গত ২৫ মার্চের পর থেকে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের সকল আদালতের বিচারিক কার্যক্রম। শুধুমাত্র জামিন শুনানীর জন্যে সীমিত আকারে ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা হলেও তাতে দেশের বেশীরভাগ আইনজীবীরই আস্থা নেই। তাই সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জ আদালতের আইনজীবীরাও ভার্চুয়াল কোর্টের পরিবর্তে একচুয়াল কোর্টের দাবিতে নিয়মিত মানববন্ধন করছেন।

আইনজীবীরা বলেন, আমরা আইনজীবীদের স্বার্থে সীমিত আকারে হলেও নিয়মিত আদালত চালুর দাবী জানাচ্ছি। বিশেষ করে জুনিয়র আইনজীবী, শিক্ষানবীশ আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী যারা রয়েছেন তারা রীতিমত মানবেতর জীবনযাপণ করছেন। তাই আইনজীবীদের স্বার্থ রক্ষায় কোন প্রণোদনা চাইনা, আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেতে চাই।

মানববন্ধন ও সমাবেশে অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন নাগরী, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট কাউসার আলী শেখ, অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট মাসুদা বেগম শম্পা, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, অ্যাডভোকেট রনজিৎ চন্দ্র দে, অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান সহ অন্যান্য আইনজীবীগণ।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা আরও বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট দিয়ে মানুষের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। এই কোর্টের মাধ্যমে শুধু হাজতে যারা আছেন তাদের জামিন করানো যায়। নতুন করে কোন প্রকার মামলা না হওয়ায় দেশে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। একমাত্র সঠিক বিচার পাওয়ার স্থান আদালত বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

তারা আরও বলেন, আইনজীবীরা সরকারি বেতন পান না। আদালতই তাদের একমাত্র আয়ের পথ। কিন্তু মার্চ মাসের ২৬ তারিখ থেকে কোর্ট বন্ধ থাকায় আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টের মধ্যে আছি। একারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে কোর্ট চালুর দাবি জানাচ্ছি।