সোনারগাঁও থানার এক পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক গৃহবধূ। এ বিষয়ে তিনি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য হলেন থানা পুলিশের এএসআই আব্দুস সামাদ। তবে ওই নারী একই অভিযোগে স্বীকার করেছেন প্রেমঘটিত কারনে বিয়ের প্রলোভন দেখালে তিনি সবকিছু সপে দিয়েছেন।

এসপি বরাবর দায়েরকৃত অভিযোগে নারী উল্লেখ করেন, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দমদমা এলাকার এক আসামী ছাড়ানোর মাধ্যমে সোনারগাঁও থানা পুলিশের এএসআই আব্দুস সামাদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। ওই সময় থেকে মোবাইল নম্বর দেওয়ার সুবাদে সময়ে অসময়ে তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিরক্ত করতেন সামাদ।

আরও অভিযোগ করা হয়- পুলিশ প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহারের ভয় দেখিয়ে কথা বলতে বাধ্য করতেন। কথা বলার সুযোগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুযোগে প্রথমবার তাকে ঢাকায় নিয়ে সিএনজি যোগে ঘুরাঘুরির পর মাসুদ নামের এক লোকের বাসায় নিয়ে গৃহবধূকে পবিত্র কোরআন শরীফ ধরে শপথ করে বিয়ের প্রলোভনে প্রথমবার দৈহিক সম্পর্ক করে।

এ ছাড়াও কয়েকবার পাশ্ববর্তী বন্দর উপজেলার মালিবাগ ক্যাসেল চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সহ একাধিক স্থানে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে।

গৃহবধূ আরো উল্লেখ করেন, এএসআই সামাদ তাকে গলার একটি স্বর্ণের চেইন ও ইমুতে কথা বলার জন্য একটি মোবাইল সেট কিনে দেন। গত এক মাস আগে সোনারগাঁও থানার পাশে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে দিনে ও রাতে তাকে ধর্ষণ করে। কিছুদিন আগে ওই নারী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই ফ্ল্যাটে চলে আসলে ৫দিন তার সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর মতই সংসার করেছে তারা। এ বিষয়টি জানাজানি হলে এএসআই সামাদের স্ত্রী ওই ফ্ল্যাট এসে নারীকে বেঁধে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে।

এ বিষয়টি সোনারগাঁও থানা পুলিশ অবগত রয়েছেন বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল ফোন থেকে এএসআই সামাদ গৃহবধূকে বিয়ের বদলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে জানা যায়।

গৃহবধূ দাবি করেন- আমাকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময়ে ডেকে ধর্ষণ করেছে। এখন জানাজানি হওয়ায় আমাকে বিয়ের বদলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে এএসআই আবদুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে স্থানীয় মিডিয়াতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) মো. খোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দেয়া অভিযোগটি পুলিশ সুপার ব্যবস্থা নেবেন। আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। বর্তমানে সামাদ ছুটিতে আছেন। ছুটি শেষে ফেরার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।