ফতুল্লায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণে চন্দন শীল ও সাইফুল্লাহ বাদল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দনশীল বলেছেন, করোনায় কর্মজীবি মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পড়ে এবং দরিদ্র পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করে আমাদের এমপি শামীম ওসমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সাহায্যের জন্য দুটি হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি সব সময় চিন্তা করেছেন আমাদের দেশের একটা লোকও যেন না খেয়ে থাকে। আর সেই গরীবের নেত্রী শেখ হাসিনার স্নেহের ছোট ভাই ও শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীমও সব সময় গরীব মানুষের কথা চিন্তা করেন। যার কারনে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের জন্য সরকারী সহায়তা নিয়ে আসেন। আর শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে প্রত্যেককে ২০ কেজি করে চাউলের ব্যবস্থা করেন। আর শামীম ওসমানও প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী প্রতিটি পরিবার যেন সঠিক ভাবে পায় সেইজন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেন। আর চেয়ারম্যানরা সঠিকভাবে তালিকা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর উপর গরীবদের মাঝে বিতরণ করেন।

২৮ জুন রবিববার সকালে ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ইউনিয়নের অসহায় ও গরীবদের প্রতিটি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ২০ কেজি করে চাল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চন্দনশীল এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন এবং কর্মহীন মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করছেন। আর জনগণের উচিৎ নিজে ও নিজের পরিবার এবং দেশকে বাঁচাতে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মনীতি মেনে চলাফেরা করা। সচেতনা অবলম্ভন করে চলা এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর না বের হওয়া উত্তম। করোনা ভাইরাসে জয় করতে হলে সচেতনা অবলম্ভন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আমাদেরকে সচেতনা অবলম্ভন করতে হবে। নিজে বাঁচতে হবে এবং নিজের পরিবার ও দেশকে বাঁচাতে হবে। সারা দেশে যখন লকডাউন চলছিল এবং মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন তখনি আমি আমার এমপি শামীম ওসমানের নির্দেশে কাশিপুর ইউনিয়নে সরকারী সাহায্য ছাড়াও আমার নিজস্ব তহবিল থেকে মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছিলাম। খাবারের কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেই নাই। সবার বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দিয়েছি। তাদেরকে চাউল, ডাল, তেল, আলু ছাড়া অন্যান্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে। কেউ না খেয়ে থাকবে সেটা হতে দেই নাই। খোজখবর নিয়ে যাদের ঘরে খাবার নাই আমার লোক দিয়ে খাবার পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, শামীম ওসসানের নির্বাচনী এলাকায় কেউ না খেয়ে ছিলো এমন রেকর্ড হয়নি। যেখানে শুনেছি উমুকের বাড়িতে খাবার নাই দ্রুতগতিতে সেই বাড়িতে খাবার পৌছে দিয়েছি। আমরা শামীম ওসমানের কর্মী ছাড়াও তার স্ত্রী আমাদের ভাবী লিপি ওসমান প্রতিটি এলাকায় গোপনে খবর নিয়ে রাতের আধারে খাবার পৌছে দিয়েছেন। লিপি ভাবীর জন্য জনগণ এখনো দোয়া করছেন সেটা আমাদের কানে আসে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এমএ সাত্তার, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এমদাদুল হক খোকা, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বাহাউদ্দিন, থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কাশিপুর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন ও কাশিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন প্রমূখ।