আড়াইহাজারে করোনা যোদ্ধা নার্সের মৃত্যু, হাসপাতালে আক্রান্ত ২৩

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

যিনি হাসপাতালে করোনা রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত তিনিই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে করোনার সঙ্গে হেরে গেলেন মীরা রানী দাস। তাছাড়া আড়াইহাজার উপজেলার হাসপাতালের স্টাফদের মধ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন।

করোনা ভাইরাসে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সিনিয়র ষ্টাফ নার্স মীরা রানী দাস (৫৪) মৃত্যুবরণ করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়মা অফরোজ ইভা ও প্রয়াত মীরা রানী দাসের স্বামী ব্যাংকার সুমন কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিৎ করেছেন। মীরা সোনারগাঁও কাঁচপুরের সাজেদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জুন বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় তার মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশরাফুল আমীন জানান, ৩১ মে উপসর্গ দেখে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তার দেহে কোভিট-১৯ এর উপস্থিতি সনাক্ত হলে প্রথমে তাকে বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়। পরে অবস্থা অবনতি হলে ৭ মে কাচঁপুর তাকে সাজেদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিৎ করে স্বামী সুমন চন্দ্র দাস জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় তার সাথে আমার শেষবার আইসিইউতে কথা হয়। ১১টায় সে মারা যায়। করোনা য্দ্ধোা মীরার লাশ ঢাকার পোস্তগোলায় দাহ করা হবে বলেও তিনি জানান। মীরার পৈত্রিক বাড়ী টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাড়াগ্রাম। স্বামীর বাড়ী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া গ্রামে। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন।

তার মৃত্যুতে গোটা হাসপাতালে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়মা আফরোজ ইভা। তিনি সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্যসহকারী সহ মোট ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ্যও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ২৩ জন আক্রান্ত হওয়ার পরও স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।